Advertisement
E-Paper

খাইখাই ধামাকায় খাসির মাংস জিতে পিকনিক

প্রথম পুরস্কার ১২ কেজি খাসির মাংস। লটারিতে জিতে খুশি ধরে রাখতে পারছিলেন না উমা বর্মণ। জানিয়ে দিলেন, ওই মাংস দিয়ে পাড়াতে হবে পিকনিক। সব বাড়িই ভাগ পাবে মাংসের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৭:৩০
উৎসাহ: লটারির জন্য ভিড়। নিজস্ব িচত্র

উৎসাহ: লটারির জন্য ভিড়। নিজস্ব িচত্র

প্রথম পুরস্কার ১২ কেজি খাসির মাংস। লটারিতে জিতে খুশি ধরে রাখতে পারছিলেন না উমা বর্মণ। জানিয়ে দিলেন, ওই মাংস দিয়ে পাড়াতে হবে পিকনিক। সব বাড়িই ভাগ পাবে মাংসের।

সৌজন্যে ধূপগুড়ির ভুরিভোজ সংস্থার লটারি। লটারির নাম ‘খাই খাই ধামাকা।’ তার পুরস্কার দেওয়া হল বুধবার রাতে।

দ্বিতীয় পুরস্কারেও ছিল পাঁচ কেজি খাসির মাংস। এ ছাড়াও পুরস্কারের তালিকায় রয়েছে দেশি মুরগি। এমনকি ডিমও। চায়ের দোকানে কাজ করেন এমন এক যুবক পেয়ে গেলেন এক ডজন ডিম। উমাদেবীর স্বামী প্রসেনজিৎ বর্মণ শালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। তিনিও খুশি। কিন্তু হঠাৎ করে কেন এমন লটারির কথা ভাবলেন উদ্যোক্তারা? তাঁদের বক্তব্য, দুর্গাপুজো শেষ। কালীপুজোও। ভাইফোঁটাও চলে যাওয়ায় আবার সেই থোড়-বড়ি-খাড়া জীবন। তাই ঝিমিয়ে পড়ছিলেন পাড়ার ডানপিটে যুবকেরা। আচমকাই ক্লাবের মধ্যে ঘরোয়া আলোচনায় উঠে আসে ‘আইডিয়া’-টা। লটারি প্রতিযোগিতা করলে কেমন হয়?

তাতে অবশ্য নতুনত্ব নেই। নতুনত্ব পুরস্কারের তালিকায়। ঠিক হয়, লটারিতে যিনি জিতবেন, তাঁকে এমন কিছু দেওয়া হবে, যা দেখে লোকে চমকে যাবে।

যেমন? প্রথম পুরস্কার ১২ কেজি খাসির মাংস, বাজারে যার দাম প্রায় সাত হাজার টাকা। মাত্র পাঁচ টাকার টিকিটের বদলে সেই মাংস হাতে পেলে খুশি তো হওয়ারই কথা! দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পুরস্কারও খাসির মাংস। চতুর্থ পুরস্কার দুই কিলোগ্রাম মুরগির মাংস। তা-ও আবার দেশি। এ ভাবে মোট ৮টি পুরস্কারের তালিকা ছাপা রয়েছে টিকিটের উপরেই।

ধূপগুড়ি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কটি ক্লাবের সদস্যরা আয়োজন করে এই ‘খাই খাই ধামাকা’র। অন্যতম উদ্যোক্তা পলাশ সরকার বেজায় লজ্জিত। বললেন, “এখানে প্রায় ১২০টি পরিবার থাকে। ইচ্ছে ছিল, আমাদের এলাকার মধ্যেই লটারি খেলা সীমাবদ্ধ রাখা হবে। কিন্তু, পুরস্কারের কথা কী করে যে ছড়িয়ে পড়ল, বুঝতে পারছি না।” পলাশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কয়েক জন বন্ধু-বান্ধব কয়েকটি টিকিট কিনেছিলেন। তাঁদের মধ্যেই কোনও এক সুহৃদ টিকিটটি স্ক্যান করে ফেসবুকে পোস্ট করে দেন। তাতেই এই খেলার কথা ছড়িয়ে পড়ে ধূপগুড়িতে। স্কুল শিক্ষক পলাশের অকপট স্বীকারোক্তি, ‘‘এদিককার মানুষ খেতে ভালবাসেন। এখানে নানা জনেই লটারির আয়োজন করে। কিন্তু পুরস্কার সেই থোড় বড়ি খাড়া বাইক, টিভি বা সাইকেল। তাই কারও তেমন উৎসাহ নেই। আমরা চেয়েছিলাম, এমন কোনও পুরস্কার রাখতে, যাতে লোকের উৎসাহ হয়।’’ পলাশের কথায়, “এতটা ভাল সাড়া পাব, বুঝিনি।”

যেখানে প্রতিযোগিতা হয়, সেই ডাকবাংলো মাঠে চলছে কালীপুজোর মেলা। মেলায় নবদ্বীপ থেকে ভেলপুরি বেচতে এসেছেন গোপাল বণিক। তিনিও খাসির মাংসের লোভে দশখানা টিকিট কেটেছিলেন।

Lottery Dhupguri Picnic
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy