Advertisement
E-Paper

প্লাস্টার ভুল হাতে, ভোগান্তি

ভেঙে ছিল বাঁ হাত। প্লাস্টার হল ডান হাতে। ঘণ্টা কয়েক পরে বাড়ির লোকের নজরে পড়লে তাঁরা ফের হাসপাতালে নিয়ে গেলে কেটে দেওয়া হয় পাঁচ বছরের শিশুর হাতের সেই প্লাস্টার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৮ ০৭:২১
নাজেহাল: মায়ের কোলে রণবীর। নিজস্ব চিত্র

নাজেহাল: মায়ের কোলে রণবীর। নিজস্ব চিত্র

ভেঙে ছিল বাঁ হাত। প্লাস্টার হল ডান হাতে। ঘণ্টা কয়েক পরে বাড়ির লোকের নজরে পড়লে তাঁরা ফের হাসপাতালে নিয়ে গেলে কেটে দেওয়া হয় পাঁচ বছরের শিশুর হাতের সেই প্লাস্টার। গোটা ঘটনায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ও শিশুর পরিবার। হাসপাতাল সুপার ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের উল্টোদিকে সঞ্জয়নগর কলোনিতে বাড়ি পেশায় গ্রিল মিস্ত্রি সনু দাসের। বছর পাঁচেকের ছেলে রণবীর নার্সারি স্কুলের ছাত্র। রবিবার সকালে ট্রাইসাইকেল চালানোর সময় পড়ে গিয়ে হাতে চোট পায় সে। বাড়ির সামনেই সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে এক্স-রে করার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় সদর হাসপাতালে। এক্স-রে করিয়ে ফের রণবীরকে সুপার স্পেশ্যালিটিতে নিয়ে আসে পরিবার। কিন্তু রবিবার আউটডোর বন্ধ থাকায় প্লাস্টার হয়নি। ব্যথা কমানোর ওষুধ দিয়ে সোমবার শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে আসতে বলেন চিকিৎসক।

সোমবার সকালে ছেলেকে নিয়ে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যান মা মঞ্জুদেবী। এক্স-রে প্লেট দেখে প্লাস্টার করে দেন কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মী। বাড়ি ফিরে যাওয়ার পরে রাতে ছেলে বাঁ হাতে ব্যাথা হচ্ছে বলে জানায়। তখন ভুল বুঝতে পারেন শিশুটির মা। মঞ্জুদেবী দেখেন বাঁ হাতের বদলে ডান হাতে প্লাস্টার করা হয়েছে। তখনই ছেলেকে নিয়ে সুপার স্পেশ্যালিটিতে ছুটে যান তিনি। চিকিৎসক সব দেখার পরে প্লাস্টার কেটে দেন। মঞ্জু দেবীর অভিযোগ, গাফিলতির প্রশ্ন তুলতেই পাল্টা তাঁকেই বকাঝকা করেন চিকিৎসক। সোমবার রাতে যদিও বাঁ হাতে প্লাস্টার করা হয়নি। মঙ্গলবার সকালে বাঁ হাতে সেই প্লাস্টার করা হয়। সোমবার যে স্বাস্থ্যকর্মী প্লাস্টার করেছিলেন তিনি ভুল স্বীকার করেন, দাবি মঞ্জুদেবীর। শিশুর বাবা সনু দাসের দাবি, ‘‘আমরা অত জানি না তো। কিন্তু অভিজ্ঞ, কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মী এক্স-রে প্লেট দেখেও কীভাবে ভুল করলেন?’’

শিশুর বাবা সনু দাস মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতাল সুপার গয়ারাম নস্করের কাছে গাফিলতির প্রশ্ন তুলে অভিযোগ দায়ের করেন। সুপার বলেন, ‘‘়কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’

Plaster Jalpaiguri Hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy