Advertisement
E-Paper

ইটাহারের তৃণমূল কর্মী খুনে গ্রেফতার প্রতিবেশী, ভিন্‌রাজ্য থেকে অভিযুক্তকে ধরল পুলিশ!

তদন্তে নেমে এলাকা, পরিবার-পরিজনদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। মৃতের পরিবারের দাবি, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে পাড়ায় একটি গন্ডগোল হয়েছিল। নাম জড়ায় ধৃতের।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২৫ ২২:৩৭
Police arrest one accused from Ordisha on Itahar case

ধৃতকে আদালতে হাজির করে ইটাহার থানার পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।

উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল কর্মী সুব্রত দেবনাথের খুনের ঘটনায় পড়শি রাজ্য থেকে গ্রেফতার হলেন এক জন! পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত বিকাশ দেবনাথ সুব্রতের পাড়ারই বাসিন্দা। তবে খুনের ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন তিনি। গা ঢাকা দেন ওড়িশার রাউরকেল্লায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে। ইটাহার থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেই আত্মীয়ের বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করে বিকাশকে! পুলিশের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে পুরনো বিবাদের জেরেই খুন হতে হয় সুব্রতকে। খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকারও করেন বিকাশ।

গত শনিবার নিজের বাড়ির অদূরেই উদ্ধার হয় সুব্রতের ক্ষতবিক্ষত দেহ। সোনাডাঙী গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত শুক্রবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার শ্রীমতী নদীর চর থেকে তাঁর দেহ মেলে। দেহের পাশেই পড়ে ছিল যুবকের জামা-প্যান্ট। তার অদূরেই ছিল জুতো, চশমা এবং মোবাইল। কে বা কারা, এই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করে ইটাহার থানার পুলিশ।

তদন্তে নেমে এলাকা, পরিবার-পরিজনদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। মৃতের পরিবারের দাবি, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে পাড়ায় একটি গন্ডগোল হয়েছিল। সেই গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়েছিলেন সুব্রত। তাদের অনুমান, সেই কারণেই সুব্রত খুন হয়ে থাকতে পারেন। নাম জড়ায় বিকাশের। সুব্রতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে বিকাশের খোঁজ চালান তদন্তকারীরা। গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার দিন থেকেই এলাকা ছেড়ে রাউরকেল্লায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছেন বিকাশ। তার পরে সেখানেই হানা দেয় ইটাহার থানার একটি বিশেষ দল।

আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বিকাশকে গ্রেফতার করে ইটাহারে নিয়ে আসেন তদন্তকারীরা। পুলিশের দাবি, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন বিকাশ। বুধবার অভিযুক্তকে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে হাজির করানো হয়। পুলিশ জানায়, এই খুনের ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে বিকাশকে জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে। সেই কারণেই নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে পুলিশ।

Murder Case arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy