বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ দিনাজপুরের ইটাহারে। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ওই যুবক। শনিবার বেলার দিকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর শরীরে কোনও জামাকাপড় ছিল না। পরিবারের দাবি, ওই যুবককে খুন করা হয়েছে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শনিবার শ্রীমতী নদীর চর থেকে সুব্রত দেবনাথ নামে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর বাড়ি ইটাহারের সোনাডাঙী গ্রামে। দেহের পাশেই পড়ে ছিল যুবকের জামা-প্যান্ট। তার অদূরেই ছিল জুতো, চশমা এবং মোবাইল। স্থানীয় সূত্রে খবর, সুব্রত পেশায় এক বিমা সংস্থার এজেন্ট। তবে পাশাপাশি পড়াতেনও। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে খাওয়ার খেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সুব্রত। বলে যান, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারতে যাচ্ছেন। কিন্তু রাত বাড়লেও বাড়ি ফেরেননি সুব্রত। তাঁর মোবাইলে একাধিক বার ফোন করেও কোনও সাড়াশব্দ না মেলায় চিন্তায় পড়েন পরিবারের লোকেরা।
খবর পেয়ে শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় ইটাহার থানার পুলিশ। ছিলেন এসডিপিও। সন্ধান করতে গিয়ে নদীর চর থেকে সুব্রতের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের শরীর, মাথা এবং মুখে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ সেই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যালে পাঠায়। পরিবার এবং স্থানীয়দের দাবি, পরিকল্পনা করে সুব্রতকে খুন করা হয়েছে। তবে কী কারণে খুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন:
সুব্রতের বাবা শ্যামল দেবনাথ জানান, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে পাড়ায় একটি গন্ডগোল হয়েছিল। সেই গন্ডগোলের জড়িয়ে পড়েছিলেন সুব্রত। শ্যামলের অনুমান, সেই কারণেও তাঁর পুত্রকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। পুলিশ সূত্রে খবর, সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।