নাচের আসরে আলাপ। আর সেখান থেকেই তরুণীকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিভিন্ন হোটেল ও বারে নাচতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
শুধু তাই নয়, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাসের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন মালদহের মানিকচকের মথুরাপুরের বাসিন্দা ওই তরুণী। তাই গত ২৮ ডিসেম্বর মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর প্রায় দু’মাস কেটে গেলেও অভিযুক্ত গ্রেফতার না হওয়ায় মহিলা থানার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে জেলা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতা ওই তরুণীর পরিবার। বৃহস্পতিবার দুপুরে মানবাধিকার সংগঠনের এক সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে ডিএসপি দিলীপ হাজরার সঙ্গে দেখা করেন ওই তরুণীর মা। তিনি বলেন, ‘‘মেয়ে বর্তমানে সাড়ে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বাধ্য হয়েই আমরা বিচারের আশায় জেলা পুলিশের কর্তাদের দ্বারস্থ হয়েছি।’’ ডিসএপি দিলীপবাবু বলেন, ‘‘মহিলা থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে। গাফিলতির অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর বাবা একটি দোকানের কর্মী। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচও করতেন। জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার শহরের একটি নাচের অনুষ্ঠানে বছর দু’য়েক আগে আলাপ হয় শহরেরই কোঠাবাড়ির বাসিন্দা এক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনিও বিচিত্রানুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ফলে দু’জনের মধ্যে দ্রুত ঘনিষ্ঠ মেলামেশা শুরু হয়। তরুণী প্রেমিকাকে প্রেমের ফাঁদ পেতে কখনও কলকাতা। আবার কখনও বিহারের বিভিন্ন হোটেল ও বারে নিয়ে গিয়ে জোর করে নাচতে বাধ্য করতেন রাজা বলে অভিযোগ। এমনকী অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে সহবাসও করা হয়। তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিয়ে করতে কিন্তু অস্বীকার করে ওই ব্যক্তি।
শুধু তাই নয়, ওই তরুণীকে মারধরও করা হয়। জানা গিয়েছে, এরপরই নির্যাতিতা ওই তরুণী জানতে পারেন ওই ব্যক্তি বিবাহিত। তাঁর একটি সন্তানও রয়েছে। তাই গত ২৮ ডিসেম্বর তিনি অভিযোগ করেন।
কিন্তু মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর কেটে গিয়েছে প্রায় দুই মাস। তারপরেও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মহিলা থানার বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলে এদিন আইনজীবী তথা গৌড়বঙ্গ হিউম্যান রাইটসের সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় দাসের সঙ্গে জেলা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই নির্যাতিতা ওই তরুণীর মা।
নির্যাতিতা তরুণী বলেন, ‘‘আমাকে জোর করে কলকাতা, বিহারের বিভিন্ন বার ও হোটেলে নাচ করিয়ে টাকা রোজগার করত ওই ব্যক্তি। আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি। তার পরেও আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এমনকী, আমি জানতে পারি ওই ব্যক্তি বিবাহিত। তাই আমি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক ফেরার। তল্লাশি চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy