দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ফুঁসলে অপহরণের অভিযোগে মহকুমাশাসকের দফতরের এক কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করল পুলিশ। চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। মেয়েকে উদ্ধার সহ ঘটনার যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়ে পুলিশের পাশাপাশি মহকুমাশাসকেরও দ্বারস্থ হয়েছেন তরুণীর পরিজনেরা। যদিও ১৮ দিন বাদেও তরুণীর কোনও হদিশ করতে পারেনি পুলিশ। এক সরকারি কর্মীর নাম ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ায় পুলিশ প্রশাসন ঘটনার তদন্তে যথেষ্ট উদ্যোগী কি না, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। যদিও বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ ও প্রশাসনের দাবি। চাঁচলের মহকুমাশাসক পুষ্পক রায় বলেন, ‘‘অভিযোগ গুরুতর। পুলিশকে গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।’’
পুলিশ ও তরুণীর পরিজনেদের সূত্রে জানা যায়, অপহৃতা ছাত্রী তুলসিহাটা হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়েন। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুরে। ১৮ ডিসেম্বর টিউশন পড়তে বেরিয়ে সে আর বাড়ি ফেরেননি। ওই দিন বিকেলেই মহকুমাশাসকের দফতরের ওই কর্মীর মোবাইল ফোন থেকে ওই ছাত্রীর বোনকে ফোন করেন ওই সরকারি কর্মী। তাকে তড়িঘড়ি চাঁচলে পৌঁছতে বলা হয়। কিন্তু চাঁচল পৌঁছোনোর পর ওই কর্মীর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায়।
তরুণীর পরিজনেদের সূত্রে জানা যায়, মহকুমাশাসকের দফতরে ওবিসি শংসাপত্রের জন্য ছোটাছুটি করতে গিয়েই ওই করণিকের সঙ্গে পরিচয় হয়। শংসাপত্র পাইয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মহকুমাশাসকের দফতরে তাঁর চাকরির বন্দোবস্ত করে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। তরুণী তার দশম শ্রেণির পড়ুয়া বোনকে সঙ্গে নিয়েও একাধিকবার মহকুমাশাসকের দফতরে গিয়েছিলেন। ফলে তাঁর বোনের সঙ্গেও ওই করণিকের পরিচয় ছিল। তাদের দু’জনকেই ওই করণিক চাকরি পাইয়ে দেওয়া সহ নানা প্রলোভন দেখাতেন বলে অভিযোগ। মেয়েকে প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে তাঁকে ওই করণিক মেয়েকে অপহরণ করেছেন বলে পরিজনেদের অভিযোগ। মহকুমাশাসকের দফতর সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর থেকেই ওই করণিক দফতরে আসা ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি ছুটির জন্য আবেদনও করেননি। তবে দফতরের একাধিক কর্মী জানিয়েছেন, মালদহের মুচিয়ার বাসিন্দা ওই করণিক চাঁচলে ভাড়াবাড়িতে একাই থাকেন। তরুণীর বাবা বলেন, ‘‘মেয়েকে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ওই কর্মী অপহরণ করেছেন। কিন্তু মেয়ে বা তার কোনও হদিশ এখনও করতে পারেনি পুলিশ।’’ চাঁচলের এসডিপিও অভিষেক মজুমদার বলেন, ‘‘অপহৃতার খোঁজ চলছে। অভিযুক্তের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy