মন্ত্রী বাঁশি বাজিয়ে ম্যাচ শুরু করতেই হাততালিতে ভাসল কোচবিহার পুলিশ লাইন ময়দান।
রবিবার দুপুরে জেলা পুলিশ আয়োজিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় কবাডির ছেলেদের বিভাগের ম্যাচের উদ্বোধন করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তার আগে বাঁশি বাজিয়ে মেয়েদের বিভাগের কবাডি ম্যাচের সূচনা করেন রাজ্য পুলিশের এডিজি এন রমেশবাবু। উন্মাদনা ছিল ওই ম্যাচ ঘিরেও।
দু’টি ম্যাচেই পরস্পরের মুখোমুখি হয় দিশা স্কুল অফ স্পোর্টস ও ঢাংঢিংগুড়ি যুব সংস্থা দল। দু’টি ম্যাচেই জয়লাভ করেছে দিশা স্পোর্টসের দল।
উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় কবাডি অবশ্য হাডুডূ নামেই বেশি পরিচিত। প্রশাসন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পরামর্শে রবিবার জেলার প্রতিটি থানা এলাকায় জনসংযোগ বাড়াতে দশ দিন ব্যাপী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়। কোচবিহার পুলিশ লাইন ময়দানে ছিল জেলাস্তরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। সেখানে সামগ্রিকভাবে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষণা করেন রবীন্দ্রনাথবাবু।
পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, কবাডি বা হাডুডু ছাড়াও ফুটবল, ভলিবল, ক্যারাটে, কুস্তি-সহ বিভিন্ন ইভেন্টও ওই প্রতিযোগিতায় রয়েছে। পাঁচ শতাধিক ক্লাবের নয় হাজারের বেশি প্রতিযোগী ওই সমস্ত ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন।
প্রতিযোগিতায় ব্যাক্তিগত ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ানদের জন্য মোটবাইক, স্কুটি, দলগত বিভাগের জন্য নগদ আর্থিক পুরস্কার থাকছে। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে গোটা জেলায় এত বড় মাপের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হচ্ছে। এতে শরীর চর্চার উৎসাহ বাড়বে।’’ বিজয়ীদের মুখ্যমন্ত্রী পুরস্কৃত করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এডিজি এন রমেশবাবু বলেন, “প্রতিবছর যাতে এমন আয়োজন করা যায়, তার চেষ্টাও রয়েছে।” এসপি অনুপ জায়সবাল জানান, শেষ দু’দিন জেলা স্তরে খেলা হবে।
কোচবিহারের সিতাই থেকে তুফানগঞ্জ সব থানা স্তরেই এই প্রতিযোগিতা ঘিরে চরম উৎসাহ ছিল। জেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, বিধায়ক মিহির গোস্বামী, ডিআইজি রাজেশ যাদব, এনবিএসটিসির পরিচালন বোর্ড সদস্য আবদুল জলিল আহমেদ সকলেই উপস্থিত ছিলেন।