Advertisement
E-Paper

Kamtapur Liberation: উত্তরে কি ফের জাল জীবনের?

অসমের গাঁ ঘেষেই কোচবিহারের বক্সিরহাট। সেখান থেকে জীবন সিংহের গ্রাম কুমারগ্রামও খুব বেশি দূর নয়।

নমিতেশ ঘোষ , সঞ্জীব সরকার

শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২২ ০৬:৪৪

থমকে গিয়েছে শান্তি আলোচনা। চুপিসাড়ে উত্তরবঙ্গে নতুন করে জাল বিস্তারের চেষ্টা করছে কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন। পর পর তিন জন যুবককে কেএলও জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতারের পর চিন্তায় পুলিশ-প্রশাসন। আর কার কার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ওই তিন জনের? অসমের কারও সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রয়েছে কি না সব খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে কেন্দ্র ও রাজ্যের গোয়েন্দারা। এর মধ্যে ছেলেকে মূলস্রোতে ফেরার আবেদন জানিয়েছেন কেএলও জঙ্গি সন্দেহে ধৃত ধনকুমার বর্মণের বাবা সুকুমার। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, “আমরা সব দিক থেকে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি।” সুকুমার বলেন, “আমার ছেলে এমন ভাবে কেএলও’র সঙ্গে যুক্ত হবে ভাবতে পারিনি। ছেলেকে যাতে বুঝিয়ে মুলস্রোতে ফিরিয়ে আনা হয়, সে বিষয়ে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে আবেদন রাখছি।”

অসমের গাঁ ঘেষেই কোচবিহারের বক্সিরহাট। সেখান থেকে জীবন সিংহের গ্রাম কুমারগ্রামও খুব বেশি দূর নয়। পরিবারের সদস্যরা জানান, গত দুই মাস ধরে ধনকুমার বাড়ির বাইরে ছিলেন। মনে করা হচ্ছে, ওই সময়ের মধ্যেই ধনকুমার উত্তর-পূর্ব ভারত সীমান্ত লাগোয়া মায়ানমারে গিয়েছিল। সেখান থেকে সে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়েছে বলেই গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।

গত কয়েক মাস ধরেই শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য আলোচনায় বসায় সায় দিচ্ছিল কেএলও। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা শান্তি আলোচনা নিয়ে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন কেএলও প্রধান জীবন সিংহ। মায়ানমারের গোপন ডেরা থেকে তিনি শান্তি আলোচনা নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। স্বাভাবিক ভাবেই মনে করা হচ্ছিল, জীবন এ বার মূলস্রোতে ফিরবে। কিন্তু শান্তি আলোচনায় পশ্চিমবঙ্গের প্রতি বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করেছিল কেএলও। তার আগে ও ওই সময়ের মধ্যেই বেশ কয়েকটি ভিডিও বার্তা সমাজ মাধ্যমে প্রকাশ করে নতুন করে আন্দোলন জোরদার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন জীবন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনাও করেছিলেন তিনি।

কিন্ত আচমকাই শান্তি প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছে। অসম সরকার ও কেএলও দু’পক্ষই নতুন করে আর কোনও বার্তা প্রকাশ করেনি। এই সময়ের মধ্যেই শিলিগুড়ি ও কোচবিহার থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করে স্পেশাল টাস্কফোর্স। গোয়েন্দারা মনে করছে, ভিতরে ভিতরে কমবয়েসি ছেলেদের সংগঠনের দিকে টানার চেষ্টা করছে কেএলও। তাতে কিছুটা হলেও সফল হয়েছে তারা। টার্গেট করা হচ্ছে, প্রাক্তন কেএলও এবং লিঙ্কম্যানদের পরিবাররের সদস্যরা। বক্সিরহাটের ওই যুবকের পরিবারের একাধিক সদস্য কেএলও লিঙ্কম্যান ছিলেন। পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হয়েছিলেন। পরে তাঁরা আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “আরও কারা নতুন করে ওই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে তা নজর রাখা হচ্ছে।

KLO
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy