Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

লিপিকার মাকে জেরা করতে চায় পুলিশ

গত বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির কদমতলা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ভাড়াবাড়িতে লিপিকা ও তার প্রেমিক অনির্বাণ উত্তমবাবুকে খুন করে বলে অভিযোগ ওঠে৷

জলপাইগুড়ি আদালত চত্বরে লিপিকা মোহান্ত। ফাইল চিত্র।

জলপাইগুড়ি আদালত চত্বরে লিপিকা মোহান্ত। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৭ ০২:৪১
Share: Save:

এলআইসির ডেভেলপমেন্ট অফিসার উত্তম মোহান্ত খুনের কিনারা করতে তার শাশুড়ি অর্থাৎ লিপিকার মাকেও জেরা করবে পুলিশ৷ ভেটাগুড়ির বাসিন্দা লিপিকার মায়ের সঙ্গে কথা বললে অনেক অজানা তথ্য সামনে আসতে পারে বলে মনে করছেন পুলিশ কর্তারা।

গত বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির কদমতলা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ভাড়াবাড়িতে লিপিকা ও তার প্রেমিক অনির্বাণ উত্তমবাবুকে খুন করে বলে অভিযোগ ওঠে৷ পুলিশ জানতে পারে, বছর চার-পাঁচ ধরেই অনির্বাণের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল লিপিকার৷ উত্তমবাবুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ন’লক্ষ টাকা হাতিয়ে ২০১৫ সালে তারা দিল্লি পালিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ৷ দুই-আড়াই মাস পর দিল্লি থেকে ফিরে আসে তারা৷ বছর খানেক আগে আবারও তারা পালিয়ে জামসেদপুরে গিয়েছিল বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। সেখান থেকে জলপাইগুড়িতে উত্তমবাবুর কাছে ফেরেননি লিপিকা৷ বরং কোচবিহারের ভেটাগুড়িতে মায়ের বাড়িতে অনেকদিন ছিলেন লিপিকা৷

এ দিন ভাইয়ের মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে জলপাইগুড়ি এসে কোতোয়ালি থানার পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন উত্তমবাবুর দাদারা৷ তার এক দাদা স্বপন মোহান্ত বলেন, ‘‘দ্বিতীয়বার অনির্বাণের সঙ্গে পালানোর সময় ভাইয়ের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেই গিয়েছিল লিপিকা। এমনকি, তাকে খোঁজার চেষ্টা হলে আত্মহত্যা করবে বলেও চিঠি লিখে গিয়েছিল৷ তাই কয়েক মাস পর ফিরে এলেও ভাইয়ের কাছে না গিয়ে মায়ের বাড়িতে চলে যায় লিপিকা৷ তাহলে কি এমন ঘটনা ঘটল যে সে আবার ভাইয়ের কাছে ফিরে এল? এবং তার কিছুদিনের মধ্যেই ভাইয়ের এই পরিণতি হল?’’

তাদের বেশ কিছু সন্দেহের কথা এ দিন পুলিশকে জানিয়েছেন উত্তমবাবুর দাদারা৷ পুলিশের এক কর্তা জানান, তাদের সব সন্দেহই খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ পাশাপাশি তিনি জানান, গোটা ঘটনার কিনারায় লিপিকার মায়েরও সহযোগিতা চাওয়া হবে৷ সেজন্য তাঁর সঙ্গে কথাও বলা হবে৷

তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রথমবার দিল্লিতে পালানোর পর লিপিকার সঙ্গে অনির্বাণের সম্পর্কে ভাঙন ধরেছিল৷ কিন্তু সেই সময় অনির্বাণের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তার দুই লক্ষ টাকা থাকায় সম্পর্ক একেবারে ভেঙে দিতে পারেনি লিপিকা৷ পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, উপার্জন তেমন না থাকায় লিপিকা মাঝে মধ্যেই স্বামীর মাইনে থেকে কিছু কিছু টাকা অনির্বাণকে দিত৷ পুলিশের জেরায় লিপিকা এ দিন দাবি করেছে, সম্প্রতি তার দেওয়া টাকাতেই অনির্বাণের চলতো৷ এবং টাকার জন্য মাঝেমধ্যেই অনির্বাণ তাকে ব্ল্যাকমেল করতো৷

জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘তদন্তে প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে৷ তার সবগুলিই খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lipika Mohanto Uttam Mohanto Murder interrogation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE