Advertisement
E-Paper

কাড়াকাড়ি তিন দলের, নেই গাড়ি

চাহিদা মতো গাড়ি না পেয়ে সমস্যায় পড়েছেন কামতাপুর প্রগ্রেসিভ পার্টির সভাপতি অতুল রায়। কোচবিহারে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, মঙ্গলবার তাঁদের সভায় যোগ দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৪৬

চাহিদা মতো গাড়ি না পেয়ে সমস্যায় পড়েছেন কামতাপুর প্রগ্রেসিভ পার্টির সভাপতি অতুল রায়। কোচবিহারে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, মঙ্গলবার তাঁদের সভায় যোগ দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। সেই সভায় আসতে চান উত্তরবঙ্গের নানা প্রান্তের কেপিপি সমর্থকেরা। কিন্তু আসবেন কী করে? টাকা ফেললেও গাড়ি মিলছে না বলে অতুলবাবুর দাবি।

কেন এমন হচ্ছে?

দলীয় সূত্রের খবর, একে তো বিয়ের মরসুম। তার উপরে একই দিনে শিলিগুড়িতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভা। সেখানেও উত্তরবঙ্গের নানা প্রান্তের বিজেপি সমর্থকেরা আসতে চান। তাঁরাও গাড়ি ভাড়া নিয়ে নিয়েছেন। তৃণমূলও কোচবিহার ও তার পরের দিন আলিপুরদুয়ারের অনুষ্ঠানের জন্য প্রচুর গাড়ি ভাড়া করেছে। তিন দলের এই টানাটানিতে গাড়ির আকাল শুরু হয়েছে।

অতুলবাবু বলেন, “আমরা ইচ্ছে করলে দু’লক্ষ লোক হাজির করতে পারি সভায়। কিন্তু গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না।’’ তাঁরা উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণেও আবেদন করেছেন। কিন্তু তাদেরও গাড়ি নেই। বাকি যা আছে তা দিয়ে দিলে রাস্তায় সাধারণ মানুষকে অসুবিধেয় পড়তে হবে।

বিজেপি অবশ্য দাবি করেছে, তাঁদের নির্দিষ্ট কিছু কর্মী ছাড়া কেউই শিলিগুড়ি যাচ্ছেন না। জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার থেকে কর্মীর সংখ্যা থাকবে হাতে গোণা। যা ভিড় হওয়ার তা শিলিগুড়ি থেকেই হবে। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিল রঞ্জন দে বলেন, “আসলে ওঁরা ওই সভায় নিয়ে যাওয়ার লোক খুঁজে পাচ্ছেন না, তাই এমন কথা বলছেন।”

দলীয় সূত্রের খবর, কেপিপির সংগঠন একসময় শক্তিশালী ছিল। রাসমেলার মাঠে লোক জমায়েতের ক্ষমতা তাঁরা আগেও দুই-একবার দেখিয়েছেন। কেপিপির সংগঠনের মূল ভিত জলপাইগুড়ি। কোচবিহারে মাথাভাঙা ও তুফানগঞ্জে কিছুটা সংগঠন রয়েছে। কিন্তু এখন কেপিপির সংগঠন শুধু কোচবিহারে নয়, জলপাইগুড়িতেও অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। সেখানে কেপিপির একার পক্ষে রাসমেলার মাঠ ভরানো সম্ভব নয় বলেই বিরোধীদের দাবি।

এই অবস্থায় তৃণমূলও ভিতরে ভিতরে রাসমেলার মাঠে কিছু কর্মী-সমর্থকদের যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তৃণমূলের এক জেলা নেতার কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী যেখানে যাবেন, সেখানে এমনিতেই ভিড় উপচে পড়ে।” আরেক নেতার কথায় অবশ্য, “কেপিপি এখন দুর্বল, সে খবর বিলক্ষণ রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে রাজবংশী সম্প্রদায়ের আবেগকে মর্যাদা দিতেই মুখ্যমন্ত্রী সেই সভায় যোগ দেবেন।’’

Mamata Banerjee Political Leader
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy