কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মাঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভা নিয়ে শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে চাপান-উতোর বেড়েই চলেছে।
এরই মধ্যে প্রশাসনিক সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিনেই শিলিগুড়িতে আসতে পারেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। সব মিলিয়ে, বছর শেষে শীতের শুরুতে রাজনৈতিক উত্তাপে সরগরম হতে চলেছে শহর শিলিগুড়ি। প্রশাসন সূত্রে খবর, আগামী ১২ ডিসেম্বর কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর সভা হওয়ার কথা। বিজেপি সূত্রে খবর, সে দিনই শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়কদের ডেকেছেন শুভেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরতে পারেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী সভাস্থল নিয়ে রবিবারই বিজেপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সভার দিন বিক্ষোভ দেখানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পাল্টা, বিজেপির হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। সোমবার শঙ্কর বলেন, ‘‘খেলা বন্ধ রেখে কাঞ্চনজঙ্ঘার মাঠে সভা হলে বিক্ষোভ হবেই। আমার সঙ্গে দলের অন্যান্য বিধায়কেরাও বিক্ষোভে থাকতে পারেন।’’ পাল্টা গৌতম দেব বলেছেন, ‘‘বিজেপি যা খুশি করুক, সেটা ওঁদের ব্যাপার। যা বলার বলেছি। স্থানীয় লিগ। মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ নতুন করে সূচি তৈরি করছে। সব কিছুর মধ্যে যদি রাজনীতি দেখতে চায়, কিছু করার নেই।’’
বিজেপি সূত্রের খবর, শঙ্করের বিক্ষোভের হুঁশিয়ারির পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ শানাতে চাইছে দল। মূলত, খেলাধূলার পরিকাঠামোয় যে উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত, এই অভিযোগ সামনে রেখেই সরব হয়েছেন শঙ্কর। এ বার তাতে শুভেন্দু শামিল হয়ে লোকসভার আগে, উত্তরের বঞ্চনার অভিযোগের উপরেই জোর দিতে চাইছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী সোমবার আলিপুরদুয়ার গিয়ে বৈঠক করেছেন। দলীয় সূত্রে খবর, ডিসেম্বরের শেষে, নয় জানুয়ারির মধ্যে উত্তরবঙ্গকেন্দ্রিক জনসভার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে সেই জনসভা হতে পারে। বিজেপি বিধায়ক আনন্দময় বর্মণ বলেন, ‘‘দলের সাংগঠনিক আলোচনায় ১২ ডিসেম্বর শুভেন্দুদা শিলিগুড়িতে আসতে পারেন। সেখানে থাকতে বলা হয়েছে।’’
পাল্টা দার্জিলিং জেলা (সমতল) তৃণমূলের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘‘বিজেপির সঙ্গে মানুষ নেই। গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করলে, প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)