Advertisement
E-Paper

মন্ত্রীর চাপে কমল সব্জির দাম

মন্ত্রীকে দেখেই সব্জির দাম কমে গেল বাজারে। বেগুন ছিল ৪০ টাকা কেজি। হয়ে গেল ৩০টাকা। পটল কমে গেল কেজিতে দশ টাকা। পেঁয়াজের দাম পড়ে গেল কেজিতে পাঁচ টাকা। মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ জানালেন খদ্দেররাও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৬ ০১:৪০
কোচবিহার ভবানীগঞ্জ বাজারে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। — নিজস্ব চিত্র

কোচবিহার ভবানীগঞ্জ বাজারে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। — নিজস্ব চিত্র

মন্ত্রীকে দেখেই সব্জির দাম কমে গেল বাজারে। বেগুন ছিল ৪০ টাকা কেজি। হয়ে গেল ৩০টাকা। পটল কমে গেল কেজিতে দশ টাকা। পেঁয়াজের দাম পড়ে গেল কেজিতে পাঁচ টাকা। মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ জানালেন খদ্দেররাও।

বুধবার কোচবিহার ভবানীগঞ্জ বাজারে আচমকা সব্জির দাম জানতে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি খুচরো ও পাইকারি দুই বাজারেই যান। সব কিছু দেখে প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানান তিনিও। তাঁর বক্তব্য, “কৃষক কম দামেই সব্জি বাজারে বিক্রি করছে। পাইকারি ও খুচরো বাজারে সব্জির দাম বেড়ে যাচ্ছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম বাজার তৈরি করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে দাম বেশি নিচ্ছে।” সেখান থেকেই তিনি কোচবিহারের জেলাশাসককে টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন। বাজারগুলিতে দামের তালিকা টাঙিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি। জেলাশাসক এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

বিক্রেতারা অবশ্য বেশি দাম নেওয়ার কথা স্বীকার করছেন না। তাঁদের দাবি, বর্ষায় সব্জির দাম বেড়ে গিয়েছে। কৃষক যে দামে সব্জি বিক্রি করছে তার উপর নির্ভর করেই বাজারে দাম নেওয়া হচ্ছে। ভবানীগঞ্জ বাজারের পাইকারি সব্জি বিক্রেতা উত্তম বসাক বলেন, ‘‘সব্জি বেশিদিন রাখা যায় না। এ ছাড়া বিভিন্ন হাট থেকে সব্জি বাজারে নিয়ে যেতেও খরচ পড়ে। সব যোগ করে দাম নেওয়া হয়।” এক খুচরো বিক্রেতা বলেন, “সরকার আমাদের কম দামে দিক। তাহলে আমরাও কমে বিক্রি করব।” আরেক বিক্রেতা জানান, বাজার শুরুর দিকে ভাল জিনিস বেছে বেছে অনেকে কিনে নেন। তাই সে সময় দাম বেশি নেওয়া হয়।

মন্ত্রীর কাছে এ দিন গ্রাহকরা অভিযোগ করেন, খুচরো বাজারে কেজি প্রতি কাঁচা লঙ্কা ১০০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, বেগুন ৪৫ টাকা, ভুটানের আলু ৪০ টাকা, দেশি আলু ২৫ টাকা, পেঁয়াজ ২০ টাকা, আদা ৮০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়। ওই দাম পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা কম। ১০ টাকা দিয়ে একটি মিষ্টি কুমড়ো পাইকারি বাজার থেকে কিনে এনে তা ১০০ গ্রামের ফালি করে দশ টাকা করে বিক্রি করা হয়। মন্ত্রী বাজার ঘুরে নিজেও ওই একই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “চালাকি করে অনেকে পটল, বে৪গুন সহ সব্জির দাম ক মিয়ে দেয়। চেপে ধরাতে তা স্বীকার করেন।”

Rabindranath Ghosh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy