অভিনব: পিক ফেলা রুখতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গব্বর সিংহের ছবি। নিজস্ব চিত্র
হাসপাতালে ঢোকার মুখেই গব্বর সিংহ! পোস্টারে বড় বড় হরফে সাঁটা সতর্কবাণী—‘‘আরে ও সাম্ভা হাসপাতাল নোংরা করার জন্য কত জরিমানা রেখেছে? পুরো ২০০ টাকা সর্দার।’’ যার ভয় দেখিয়ে বাড়ির শিশুদের এক কালে বলা হত ‘ঘুমিয়ে পড়ো না হলে গব্বর চলে আসবে’—হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন রাখতে আশির দশকে বলিউড কাঁপানো শোলে সিনেমার সেই খলনায়ককেই এ বার হাতিয়ার করেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখরের লোধন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতেই এই অভিনব ফতোয়া। অভিযোগ, রোগী এবং রোগীর পরিজনদের একাংশ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের যেখানে সেখানে পানের পিক ফেলেন। এই নিয়ে বিরক্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তপক্ষ। সম্প্রতি তাঁরা ফরমান জারি করেছেন পিক ফেললেই জরিমানা নেওয়া হবে।
রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের মজার ছলে সতর্ক করতেই তারা ফতোয়ায় গব্বরের ‘ভয়’ দেখাচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। পিক ফেললেই গব্বর চলে আসবে আর ২০০ টাকা জরিমানা নেবে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক কর্তা বলেন, ‘‘অভ্যাস তো আর একদিনে বদল করা যায় না। এই নির্দেশিকা দেওয়ার প্রথম দিকে যাঁরা পিক ফেলেছিলেন প্ৰথম প্ৰথম মুচলেকা দিয়ে তাঁদের ছাড় দেওয়া হয়। কিন্তু দ্বিতীয় বার করলে ভয় আছে। গব্বরের। সে কিন্তু তখন কিছুতেই ছাড় দেবে না।’’
বেশ কয়েকটি ঘটনায় গব্বর জরিমানা নেওয়ায় আর কেউ পিক ফেলছেন না ঠিকই। কিন্তু গব্বরের জরিমানা একটু বেশিই বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার এক রোগীর পরিজন। যদিও স্বাস্থ্যকেন্দ্রর দাবি, জরিমানা ফি বেশি করায় লাভ হয়েছে। এখন আর কেউ পিক ফেলছেন না। স্বাস্থ্যকেন্দ্র যদি অস্বাস্থ্যকর থাকে তা হলে কী করে মানুষ চিকিৎসা করাতে এসে সুস্থ হবেন। সেই ভাবনা থেকেই পদক্ষেপ।
এ দিকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এই গব্বরকে নিয়ে এখন ভাল চর্চা চলছে গোয়ালপোখরে। লোধন স্বাস্থ্যকেন্দ্র মন্ত্রী গোলাম রব্বানির এলাকায়। তিনি জানান, ‘‘ভাল উদ্যোগ। ভাবনাও ভাল। এতে যদি হাসপাতাল পরিষ্কার থাকে তাতে ক্ষতি কীসের!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy