E-Paper

গিয়ে বারে চিকিৎসায় প্রশ্ন সরকারি পরিকাঠামোয়

সরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা মিলবে বলে দাবি করা হলেও জেলা হাসপাতালে নার্ভের চিকিৎসক নেই।

সৌমিত্র কুন্ডু, নমিতেশ ঘোষ

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:০০
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

‘গিয়ে বারে’ সিন্ড্রোম নিয়ে হাসপাতালগুলোকে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিল দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্য দফতর। নজরদারি শুরু করা হয়েছে কোচবিহার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফেও।

সরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা মিলবে বলে দাবি করা হলেও জেলা হাসপাতালে নার্ভের চিকিৎসক নেই। অথচ এই রোগে নার্ভের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রয়োজন। ৩০ শতাংশ রোগীর ভেন্টিলেটর দরকার হতে পারে। বেসরকারি হাসপাতালে রোগী গেলেও সেখানে খরচ বিপুল। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নার্ভের চিকিৎসক নেই। হাসপাতাল সুপার সৌরদীপ রায় বলেন, ‘‘দরকারে আমরা বাইরের নার্ভ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নেব।’’

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, শিলিগুড়িতে ৫ জন রোগীর তথ্য মিলেছে, যারা কোচবিহারের বাসিন্দা। বর্ধমান রোডের নার্সিংহোমে ভর্তি ৪ বছরেের শিশু কন্যাকে ভেন্টিলেশন থেকে বার করে বিশেষ ব্যবস্থা(হাই ফ্লো নেজাল ক্যানুলা)-র সাহায্যে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। শিশুর বাবা বলেন, ‘‘দিনে ৪০ হাজার টাকা খরচ জোগাতে বিপাকে পড়েছি।’’ শিশুর পরিবার খরচ সামলাতে বিপাকে পড়লেও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল বা কোনও সরকারি হাসপাতালে যেতে ভরসা পাচ্ছেন না বলে জানান। অন্য রোগী ভর্তি মাটিগাড়ার নার্সিংহোমে।

কোচবিহার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, এখন পর্যন্ত কোচবিহারের দু'জন আক্রান্তকে খুঁজে পেয়েছেন তারা। শিলিগুড়িতে নার্সিংহোমে ভর্তি চার বছরের শিশুটির পরিস্থিতি গত দু’ দিনের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। অন্য জন, তুফানগঞ্জের এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি। তাঁকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা নজর রেখেছি। আক্রান্তেরা স্থিতিশীল।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Darjeeling Cooch Behar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy