Advertisement
০২ এপ্রিল ২০২৩
Left Front

মাথায় লাঠি কেন? প্রশ্ন বিশিষ্টদেরও

এর আগেও বিভিন্ন সরকারের আমলে লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছিল।

প্রতিবাদ: কলকাতায় নবান্ন অভিযানে বাম যুব কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর প্রতিবাদে বামেদের প্রতিবাদ মিছিল শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডে।

প্রতিবাদ: কলকাতায় নবান্ন অভিযানে বাম যুব কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর প্রতিবাদে বামেদের প্রতিবাদ মিছিল শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডে। ছবি: স্বরূপ সরকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:৩১
Share: Save:

ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার দুই শহরেই পথে নামনে সিপিএমের নেতা-কর্মীরা। একই সঙ্গে বিশিষ্টজনেরা প্রশ্ন তোলেন, এমন আন্দোলন মোকাবিলায় পুলিশের দক্ষতা বাড়ছে না কেন?

Advertisement


এর আগেও বিভিন্ন সরকারের আমলে লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছিল। তৃণমূলের দাবি, বামেদের আমলেও এমন হত। কিন্তু কেন আন্দোলন মোকাবিলায় পুলিশের দক্ষতা বাড়ছে না, কেনই বা বিভিন্ন কমিশনগুলির পরামর্শ মানা হচ্ছে না— তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নাট্যকর্মী থেকে সমাজকর্মীরা। ১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানে বাঁকুড়ার কোতুলপুরের ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যা আহত হন বলে দাবি। সোমবার সকালে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে তিনি মারা যাওয়ার পর শিলিগুড়িতেও প্রতিবাদ শুরু হয়েছে।


শিলিগুড়ির নাট্যকর্মী পার্থ চৌধুরী বলেন, ‘‘আন্দোলন তো আমাদের অধিকার। সেখানে এ রকম ঘটনা একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয়। পুলিশের আরও দায়িত্বশীল হয়েই কাজ করতে হত।’’ সমাজকর্মী সুজিত রাহা বলেন, ‘‘সরাসরি মাথায় লাঠি চালানোর অভিযোগ কেন উঠবে? কেন চালাতে হচ্ছে?’’ শিলিগুড়ির বিশিষ্টজনদের দাবি, ৭০ এর দশক থেকেই এমন অভিযোগ উঠছে। দার্জিলিং জেলা লিগ্যাল এড ফোরামের সম্পাদক অমিত সরকারের কথায়, ‘‘লাঠিচার্জের ক্ষেত্রেও অনেক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পুলিশের সেগুলি মেনেই চলা উচিত।’’


এদিন বিকেলে হিলকার্ট রোডে বামেদের মিছিলের নেতৃত্ব দেন সিপিএম দার্জিলিং জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার। শ্রমিক নেতা সমন পাঠক, যুব নেতা সৌরাশিস রায় এবং এসএফআই জেলা সম্পাদক শঙ্কর মজুমদাররা। জীবেশবাবু বলেন, ‘‘আমরা আন্দোলনের পাশাপাশি আইনি লড়াইয়েও যাব।’’ দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘বেআইনি জমায়েত হলে তো লাঠি, জলকামান চলবেই।’’
জলপাইগুড়ি শহরেও পথে নামেন বাম ছাত্র-যুবরা। বামফ্রন্টের জেলা কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহর ঘুরে থানা মোড়ে হাজির হয়। থানা গেট আটকে চলে বিক্ষোভ। পুলিশ ব্যারিকেড করে রেখেছিল। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

Advertisement

ডিওয়াইএসআই জেলা সম্পাদক প্রদীপ দে বলেন, ‘‘কাজের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলাম। বদলে আমাদের কর্মীকে হারালাম। আন্দোলন বড় আকার নেবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.