রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।—নিজস্ব চিত্র।
ভোট প্রচারের ফাঁকেই দফতরের অর্থে তৈরি স্টেডিয়ামের কাজ পরিদর্শন করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। রবিবার দুপুরে হবিবপুরের কেন্দপুকুর হাইস্কুল মাঠে চলা সেই কাজ পরিদর্শনে যান মন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের মালদহ জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন-সহ অনেকেই। হবিবপুরের বিধানসভা উপনির্বাচনের আচরণবিধি চালু থাকাকালীন এই পরিদর্শন নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। কংগ্রেস, বিজেপি ও সিপিএমের অভিযোগ, ভোটারদের প্রভাবিত করতে এই পরিদর্শন। যদিও মন্ত্রী অভিযোগ মানতে নারাজ।
বিধানসভার উপনির্বাচন উপলক্ষে শনিবার থেকে হবিবপুর ব্লকে তৃণমূল প্রার্থী অমল কিস্কুর সমর্থনে ভোট প্রচার করছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। এ দিনও হবিবপুরের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী সভা করেন তিনি। এ দিকে ব্লকেরই কেন্দপুকুর হাই স্কুল মাঠে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের তরফে একটি স্টেডিয়াম তৈরি চলছে। সেখানে সীমানা প্রাচীরও তৈরি হচ্ছে। ভোট প্রচারের ফাঁকে এ দিন বিকেলে কাজটি পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। সে সময়ে সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের মালদহ জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, হবিবপুর ব্লক দলীয় সভাপতি প্রভাস চৌধুরী, জেলা পরিষদের দলীয় শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ প্রতিভা সিংহ প্রমুখ। কাজ দেখে তিনি পার্বতীডাঙার নির্বাচনী সভায় বেরিয়ে যান।
এ দিকে নির্বাচনী আচরণবিধি চলাকালীন মন্ত্রীর সরকারি কাজ পরিদর্শন নিয়ে বিতর্ক বেধেছে। মালদহ জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, “নির্বাচনী আচরণবিধি চলাকালীন মন্ত্রী এ ভাবে সরকারি কাজ পরিদর্শন করতে পারেন না। ভোটারদের প্রভাবিত করতে এটা করা হয়েছে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, “ভোটাররা যাতে প্রভাবিত হন সে জন্য মন্ত্রী পরিদর্শন করেছেন বলে আমরা মনে করি।” বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গোপাল সাহা বলেন, “এখন নির্বাচনী বিধি লাগু রয়েছে। কোনও মন্ত্রী কোনও সরকারি কাজ পরিদর্শন করতে পারেন না। আমরা কমিশনকে জানাব বিষয়টি।”
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অবশ্য বলেন, “মন্ত্রী কোনও সরকারি সফরে আসেননি বা সরকারি কোনও আধিকারিককে নিয়ে কাজটি পরিদর্শন করেননি। তিনি ওই রাস্তা দিয়ে একটি সভায় যাচ্ছিলেন। সে সময় কাজটি কেমন হচ্ছে তা একবার দেখে নেন। এতে হইচই করা বা বিতর্কের কী আছে।” মন্ত্রীও বলেন, “কয়েক মাস আগে কাজটি শুরু হয়েছে। প্রচারের ফাঁকে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কাজের অগ্রগতি দেখে গেলাম। এতে কাউকে প্রভাবিত করার কী আছে? আসলে বিরোধীদের পায়ের তলায় মাটি নেই, তাই বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy