Advertisement
E-Paper

রবি-পুত্রর নামের পাশে বিজেপি!

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি। জেলা পরিষদের সদস্যরাও কেউ বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি।

নমিতেশ ঘোষ 

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৯ ০২:৫৬
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কেউ বিজেপি, কেউ সিপিএম, কেউ আবার এসইউসিআই! সোমবার নবান্নে জেলা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে থাকা কোচবিহার জেলা পরিষদের সদস্যদের তালিকায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের পুত্র পঙ্কজ এবং জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি তথা বর্তমান সহকারি সভাধিপতি পুষ্পিতা রায় ডাকুয়াকে বিজেপি বলে উল্লেখ করা ছিল। স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শুচিস্মিতা দেবশর্মা, নুর আলম হোসেন-সহ একাধিক সদস্যকে এসইউসিআই দলের বলে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া একাধিক সদস্যের নামের পাশে সিপিএম ও কংগ্রেস লেখা ছিল। অথচ প্রত্যেকেই তৃণমূল সদস্য। এমন ঘটনায় হতচকিত হয়ে পড়েন সবাই। পরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেখানে উপস্থিত রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জেলা প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলেন।

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি। জেলা পরিষদের সদস্যরাও কেউ বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি। কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মণ বলেন, “এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা অভিযোগ জানিয়েছে।” পঞ্চায়েত মন্ত্রীকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সদস্য অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁদের এক জনের কথায়, “জেলা প্রশাসনের মাধ্যমেই ওই তালিকা পাঠানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কেন এমন হল, বোঝা যাচ্ছে না। যাঁরা তালিকা তৈরি করেছেন, তাঁরা জেলা পরিষদের সঠিক তথ্য হাতে পাবেন না তা তো হতে পারে না।” জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, তাঁরা সঠিক তালিকাই করেছিলেন। সেই তালিকা কোথায় কী ভাবে পাল্টে গেল, তা বুঝতে পাচ্ছেন না। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “বিষয়টি দেখা হবে।’’

৩৩ আসনের কোচবিহার জেলা পরিষদের ৩২ জন সদস্য তৃণমূলের। একজন কৃষ্ণকান্ত বর্মণ নির্দল হয়ে জিতেছিলেন। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। জেলা পরিষদ সূত্রেই জানা গিয়েছে, এ দিনের বৈঠকের জন্যে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমেই আগাম কাউন্সিলদের তালিকা পাঠাতে হয়েছে। এ দিন ২৮ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বাকিদের নানা সমস্যায় তাঁরা যেতে পারেননি বলে জেলা পরিষদ সূত্রের খবর। ওই তালিকায় ৯ জনকে তৃণমূল এবং বাকিদের অন্য দলের কাউন্সিলর হিসেবে দেখানো হয়। বৈঠকের ঘরে ঢোকার সময় ওই তালিকা দেখে হতচকিত হয়ে পরেন জেলা পরিষদের সদস্যরা।

BJP Rabindranath Ghosh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy