Advertisement
E-Paper

মাঠে গর্ত খোঁড়া, খেলা বন্ধ স্কুলে

পঞ্চায়েত সমিতির পালাবদলের জেরে মাঝ পথে থমকে স্কুলের মাঠ সংস্কারের কাজ। দু’মাস ধরে মাঠটি খনন করে রাখার ফলে খেলাধূলার অযোগ্য হয়ে উঠেছে। যার জেরে ক্ষোভে ফুঁসছে মালদহের হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডী গিরিজা সুন্দরী হাই স্কুলের ছাত্র ও অভিভাবকরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৬ ০১:৫৩
জল জমে বেহাল স্কুলের মাঠ। —নিজস্ব চিত্র

জল জমে বেহাল স্কুলের মাঠ। —নিজস্ব চিত্র

পঞ্চায়েত সমিতির পালাবদলের জেরে মাঝ পথে থমকে স্কুলের মাঠ সংস্কারের কাজ। দু’মাস ধরে মাঠটি খনন করে রাখার ফলে খেলাধূলার অযোগ্য হয়ে উঠেছে। যার জেরে ক্ষোভে ফুঁসছে মালদহের হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডী গিরিজা সুন্দরী হাই স্কুলের ছাত্র ও অভিভাবকরা।

অভিযোগ, বর্ষার সময়ও মাঠে হেঁটে চলাচল করা দায় হয়ে ওঠে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েও মাঠ সংস্কারের কাজ শুরু হয়নি বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জগদীশচন্দ্র সরকার বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত সমিতির তরফ থেকে মাঠের সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। প্রথম দিকে কাজ শুরু হলেও এখন অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে মাঠটি।’’ প্রশাসনকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে, শীঘ্রই লিখিত ভাবে জানানো হবে বলে জানান তিনি।

পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শুভঙ্কর মিশ্র জানান, কাজ শুরু হওয়ার পরই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়। সমিতির বোর্ড ভেঙে যাওয়ায় এমন সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই স্কুলে প্রায় দেড় হাজার পড়ুয়া রয়েছে। স্কুলের সামনের মাঠে কোনও ঘাস না থাকায় খেলাধূলায় সমস্যা হত পড়ুয়াদের। মাঠের কোনও সীমানা প্রাচীরও নেই।

পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঠটি সংস্কারের জন্য ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সীমানা প্রাচীর দেওয়া ও মাঠে ঘাস লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। মাঠের চারপাশে সাধারণ মানুষের বসার ব্যবস্থা-সহ টাওয়ার লাইট বসানো হবে বলে জানানো হয়েছিল। ৫ জুন ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে সীমানা প্রাচীরের জন্য মাঠের খনন করা হয়। এরই মাঝে হবিবপুরের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে রদবদল হয়। কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রেজিনা মুর্মুকে অপসারণ করে আসেন নতুন সভাপতি অরসুল্লা সোরেন। জানা গিয়েছে, স্কুলের পাশাপাশি হবিবপুর সার্কেলের প্রাথমিক বিভাগের সমস্ত খেলাধূলা হাই স্কুল মাঠেই হয়। ফলে মাঠটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হবিবপুরের বিডিও ফুরবা দর্জি শেরপা বলেন, ‘‘খুব দ্রুত মাঠ সংস্কারের কাজ শুরু হবে।’’ তবে এখন কি অবস্থায় রয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।

School ground
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy