E-Paper

সীমান্তে বেড়া নিয়ে আপত্তি ঘরে-বাইরে

ভুলকিপুর সীমান্তে আদিবাসী পাড়ায় কাঁটাতার নেই। সেখানে বেড়ার কাজ শুরু হতেই স্থানীয়েরা আপত্তি জানান বলে অভিযোগ।

অনুপরতন মোহান্ত

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:০৬
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

এ বার কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে আপত্তি জানাল গ্রামবাসীদের একাংশ। রবিবার বালুরঘাটের অমৃতখণ্ড পঞ্চায়েতের ভুলকিপুর সীমান্তের ঘটনা। গোলমালের খবর পেয়ে এলাকায় যান বালুরঘাট থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। আইসি সুমন্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’’ পাশাপাশি বিজিবির বাধায় বালুরঘাটের শিবরামপুর সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কাজ বন্ধ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রবিবার সেখানে যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বালুরঘাটের বিধায়ক অশোককুমার লাহিড়ী। অশোক বলেন, ‘ শিবরামপুরে আদিবাসী পাড়া (ঠান্টাপাড়া) আছে। বেড়া দেওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে।"

ভুলকিপুর সীমান্তে আদিবাসী পাড়ায় কাঁটাতার নেই। সেখানে বেড়ার কাজ শুরু হতেই স্থানীয়েরা আপত্তি জানান বলে অভিযোগ। বিএসএফ কর্তৃপক্ষের দাবি, জিরো পয়েন্ট থেকে দেড়শো মিটার ছেড়ে বেড়া দেওয়া হচ্ছে। এতে পুরো এলাকাটি কাঁটাতারের বেড়ার ভিতরে আসবে।

এ দিন শিবরামপুর গ্রামে পরিদর্শন করে বালুরঘাটের বিধায়ক গ্রামবাসী এবং বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। অশোক জানান, ভারত সরকারের নীতি সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে হবে। এলাকাটিকে কাঁটাতারের ভিতরে আনতে গেলে প্রায় ৯০০ মিটার বেড়া দেওয়া দরকার। বাংলাদেশ ও ভারত দু’দেশের সরকার একমত যে, আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে দেড়শো মিটারের মধ্যে নির্মাণ কাজ করা যাবে না। ওই আদিবাসী গ্রামটির অল্প কিছু জায়গা দেড়শো মিটারের মধ্যে পড়ছে। বাকি এলাকায় দেড়শো মিটার ছেড়ে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যাবে। অশোক বলেন, ‘‘এই নিয়ে কমান্ড্যান্টের সঙ্গে কথা বলেছি, বিজিবির সঙ্গে আলোচনায় সমাধান হয়ে যাবে।’’ এ জন্য জমি প্রয়োজন বলে দাবি করে অশোক বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের কাছে জমি দিতে অনুরোধ করব।’’ জাতীয় সড়ক বিভাগের জমি অধিগ্রহণের অধিকার রয়েছে। কিন্তু বিএসএফের নেই। তাই রাজ্য সরকারকে জমির ব্যবস্থা করে জেলাশাসকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় পূর্ত বিভাগ দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করতে হবে। তৃণমূল নেতা বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘‘সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে রাজ্য সহযোগিতা করে।’’ কিছু এলাকায় জমি-জটিলতায় সমস্যা দেখা দেয় বলে তিনি দাবি করেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Balurghat

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy