তীব্র দাবদাহে শুকিয়ে গিয়েছে এলাকার সমস্ত পুকুর। জমিতে জলসেচের জন্য ভরসা ছিল বিদ্যুত চালিত সেচ-পাম্প। কিন্তু শর্ত পূরণ করেও বিদ্যুত বন্টন কোম্পানি চাষিদের সাব মার্সিবল পাম্পে বিদ্যুতের-সংযোগ দেয়নি বলে অভিযোগ। ফলে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের অযোধ্যা এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকার জমিতে বোরো ধানের চাষ মার খেয়েছে।
চাষের মরসুম শেষ হতে চলেছে। চাষিরা বোরোর আবাদ করতে না পারায় চরম বিপাকে পড়েছেন। ইতিমধ্যে জলের অভাবে বীজতলা শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেচহীন ওই এলাকায় বেসরকারি উদ্যোগে সাব-মার্সিবল পাম্পের উপর নির্ভর করে প্রতিবার অন্তত ৪০ থেকে ৫০ বিঘা জমিতে এলাকার চাষিরা গ্রীষ্মকালে বোরোর চাষ করেন। এবার হাল বলদ দিয়ে জমি চষে, বীজতলা তৈরি করে জলের অভাবে ধান বুনতে না পেরে চরম ক্ষতির মুখে পড়ে মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের।
অযোধ্যা গ্রামের চাষি পলাশ মন্ডলের উদ্যোগে বসানো সাব মার্সিবল পাম্পের উপর নির্ভর করে গত দু বছর এলাকার অন্তত ৩০ জন ছোট চাষি বোরো ধানের চাষ করেন। বিদ্যুত বন্টন কোম্পানির বালুরঘাট জেলা দফতরে আবেদন করে বোরো মরসুমে তিন মাসের জন্য সাবমার্সিবল পাম্পে বিদ্যুত সংযোগের অনুমতি পান পলাশবাবুরা। সাবমার্সিবল চালিয়ে বিস্তৃর্ণ এলাকার জমিতেও সেচের ব্যবস্থা হয়। জলের যোগান পেয়ে এলাকার চাষিরাও প্রতিবছর বোরোর চাষ করেন। পলাশবাবুর অভিযোগ, গত বছর মরসুমের মাঝপথে শিলাবৃষ্টির ফলে মিটারটি খারাপ হয়ে যায়। নতুন মিটার সংযোগের জন্য আবেদন করেও বিদ্যুত দফতর থেকে কোনও সাড়া মেলেনি। পরিদর্শনেও যাননি সংশ্লিষ্ট দফতরের কোনও কর্মী। এরফলে মিটার রিডিংও হয়নি বলে তার অভিযোগ। এরপর বিদ্যুতের বিল বাবদ ৬৮ হাজার টাকা মেটানোর জন্য তিনি চিঠি পান। অথচ ওই তিনমাস বোরো চাষের মরসুমের জন্য বিদ্যুতের বিল বাবদ প্রতিবছর ২২ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা বিল দিয়ে আসছেন বলে পলাশবাবুদের দাবি।