Advertisement
০২ মে ২০২৪
Malda

শরীর জুড়ে কাটাছেঁড়া, মুখ দগ্ধ অ্যাসিডে! মালদহের রাস্তায় মহিলার দেহ, পাশে গর্ভনিরোধকের প্যাকেট

স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার কুশিদার ধানজমির পাশে একটি দেহ পড়ে থাকতে দেখেন কয়েক জন। কাছে গিয়েই চমকে যান তাঁরা। দেখা যায়, ওই মহিলার দেহের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
হরিশ্চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৪২
Share: Save:

ধানক্ষেতের পাশে পড়ে এক মহিলার দেহ। শরীরের বেশির ভাগ জায়গায় কাটাছেঁড়ার দাগ। ঝলসানো মুখ। যা অ্যাসিড দিয়েই বিকৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাই চেনার উপায় নেই দেহটি কার। রবিবার সকালে এমন দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিলেন মালদহের বিহার ঘেঁষা একটি ব্লকের বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। উদ্ধার করা হয় সেই দেহ। অভিযোগ উঠেছে, গণধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। স্বাভাবিক ভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।

স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার এলাকার একটি ধানজমির পাশে একটি দেহ পড়ে থাকতে দেখেন কয়েক জন। কাছে গিয়েই চমকে যান তাঁরা। দেখা যায়, ওই মহিলার দেহের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। আর মুখটা বিকৃত হয়ে গিয়েছে। অ্যাসিড হানা হলে যেমনটা হয়, সে ভাবেই ঝলসে গিয়েছে ওই মহিলার মুখ। ফলত, তাঁকে কেউ চিনতে পারেননি। খবর দেওয়া হয়েছিল পুলিশ। দেহ উদ্ধারের সময় দেখা যায়, দেহের আশপাশেই পড়ে রয়েছে নিরোধের প্যাকেট। সেখান থেকে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।

বস্তুত, মালদহের ওই ঘটনাস্থলের কিছু দূরেই বিহার এবং বাংলার সীমান্ত এলাকা। ওই মহিলা স্থানীয় কেউ না কি, ভিন্‌রাজ্যের বাসিন্দা, তা এখনও জানা যায়নি। ইতিমধ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

ইতিমধ্যে এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যে প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি। তার পাল্টা আবার এক্স হ্যান্ডলে বিজেপিকে নিশানা করেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Malda mystery death Murder Case
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE