প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন ওড়িশা। সেখান থেকে বাপের বাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন ‘উদ্ধার’ করে আনেন যুবতীকে। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি ফেরার সপ্তাহখানেকের মধ্যে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বাড়িতে। মঙ্গলবার সকালে ঘটানাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম অর্পিতা হালদার। বছর চারেক আগে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় কুলতলী থানার নাপিতখালি গ্রামের বাসিন্দা নন্দ হালদারের। অর্পিতার বাপের বাড়ি বকুলতলা থানা এলাকায়। নন্দ এবং অর্পিতা দুই নাবালক সন্তানের বাবা-মা।
অর্পিতার পরিবার সূত্রে খবর, সম্প্রতি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। এ নিয়ে দাম্পত্যকলহ চলছিল। কিছু দিন আগে স্বামী-সন্তান ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে ওড়িশা পালিয়ে গিয়েছিলেন অর্পিতা।
আরও পড়ুন:
তাঁর খোঁজে বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্ন জায়গায় যান। শেষমেশ ওড়িশার একটি জায়গায় খোঁজ মেলে অর্পিতার। এক সপ্তাহ আগে শ্বশুরবাড়ি ফেরেন ওই বধূ। মঙ্গলবার সকালে ঘরে অর্পিতার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় তার ছোট মেয়ে। তার চিৎকার-চেঁচামেচিতে পরিবারের লোকজন ছুটে যান। কুলতলি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অর্পিতাকে। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ ওই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। খুন না আত্মহত্যা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।