তুফানগঞ্জে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। নিজস্ব চিত্র।
বীরভূমের বগটুইয়ের ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যজুড়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র এবং বোমা উদ্ধার করছে পুলিশ। ঠিক সেই সময় দাঁড়িয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল কোচবিহারের চিলখানা এলাকায়। এ বার ইটভাটার মাটি সরবরাহকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দু’পক্ষ সঙ্ঘর্ষে জড়ায়।
শুক্রবার চিলাখানা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি বাসুদেব রায়ের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। আর আঙুল উঠেছে তাঁদের দলেরই অঞ্চল সভাপতি কমল বর্মণের বিরুদ্ধে। বাসুদেবের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার চিলাখানা-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ইটভাটার মাটি সরবরাহের জন্য ডাম্পার চালানোর অনুমতি দেন অঞ্চল সভাপতি কমলেশ্বর বর্মণ। কিন্তু তিনি অনুমতি দেওয়ার সময় শ্রমিক সংগঠন নেতৃত্ব, যুব সংগঠনের নেতৃত্ব এবং ব্লক সভাপতি প্রমুখকে কিছুই জানাননি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় গন্ডগোল। তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতির সঙ্গে বচসায় জড়ান অন্যান্যরা।
এর পরে বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে তাঁর বাড়িতে দুষ্কৃতীরা বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ তৃণমূল যুব নেতার। এই ঘটনার পর তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। অন্য দিকে কমলেশ্বরের দাবি, দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের মধ্যে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। আইএনটিটিইউসি সভাপতি-সহ সব নেতৃত্ব মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ তৃণমূল নেতার আরও দাবি, ‘‘মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে কিছু দালাল চক্র এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। মাটি কাটা নিয়ে যদি নিজেদের মধ্যে কোনও ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকে আমরা নিজেরাই তা আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy