প্রতীকী চিত্র
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের ফসল ঘরে তুলতে এবারে বিজেপি’র হয়ে মাঠে নামছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)।
আরএসএস সূত্রের খবর, বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলা কোচবিহারে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে ওই বিলের সপক্ষে জনমত গড়ে তুলবে তারা। কোচবিহারে ইতিমধ্যে তিন হাজার কর্মী মাঠে নেমে বিল নিয়ে প্রচার শুরু করেছেন। আরও কয়েক হাজার কর্মী শীঘ্রই নামবেন। তবে কোনও প্রচারই প্রকাশ্যে হবে না। গ্রামে গ্রামে মানুষের মধ্যে মিশে থেকেই সঙ্ঘ কর্মীরা কাজ করবেন। বিজেপি মনে করছে, ওই প্রচার সঠিক ভাবে হলে তৃণমূল এবারে আর সুবিধে করতে পারবে না।
বিজেপি’র কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “আরএসএস কোনও রাজনৈতিক সংগঠন নয়। তাই তারা কোনও দলের হয়ে প্রচার করবে, তা ঠিক নয়।” যদিও নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপি কোচবিহার জেলার এক নেতা জানান, সঙ্ঘ পরিবার ধর্মীয় সংগঠন। নির্দিষ্ট লক্ষ্যে তারা কাজ করে। কোনও কাজ তাদের পছন্দ হলে তারা নিজেদের মতো করে প্রচার করে। এক সঙ্ঘ সদস্যের কথায়, “আমাদের অনেকেই বিজেপি করেন। আবার অন্য দলের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন। কিন্তু এই বিষয়ে সবাই একই প্রচার করবেন।”
কোচবিহার লোকসভা আসন এবারে তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। ছ’মাসের মধ্যে অবশ্য নতুন করে ফের ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে তৃণমূল। বিশেষ করে গত তিনটি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পরে পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টেছে। বিজেপি মনে করছে, অসমের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে তৃণমূলের প্রচারে পিছিয়ে পড়েছে তারা। মানুষের মধ্যে এনআরসি নিয়ে ভয় তৈরি হয়েছে। সেই ভয় কাটানোর ‘দাওয়াই’ নাগরিকত্ব বিলে রয়েছে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
সেজন্যেই এবারে প্রচারে তৃণমূলের আগেই নামতে চাইছে সঙ্ঘ। বিশেষ করে হিন্দু এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিষয়টি তুলে ধরতে চাইছে তারা। সঙ্ঘ পরিবার মনে করছে, এই বিল সম্পর্কে সঠিক ভাবে হিন্দুদের কাছে পৌঁছতে পারলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহারে ৯টি আসনেই বাজিমাত করতে পারবে বিজেপি। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “কোনও প্রচারেই লাভ হবে না বিজেপি’র। ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে বিভাজন করার চক্রান্ত কেউই মেনে নেবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy