Advertisement
E-Paper

অন্তর্দ্বন্দ্বেও সতর্ক নজর পুলিশের

উত্তরবঙ্গের এক পাশে বাংলাদেশ সীমান্ত। এ ছাড়াও রয়েছে ভুটান ও নেপাল সীমান্ত। রয়েছে সিকিম, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও অসমের সঙ্গে সীমানা। পুলিশ সূত্রেই খবর, সীমান্ত ও সীমানা এলাকায় বারবার গোলমাল হয়েছে।

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:২৮
তল্লাশি: রায়গঞ্জে পুলিশের তল্লাশি। নিজস্ব চিত্র

তল্লাশি: রায়গঞ্জে পুলিশের তল্লাশি। নিজস্ব চিত্র

নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের শাসক দলের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুন হওয়ার পর রাতারাতি উত্তরবঙ্গের মন্ত্রী, বিধায়ক এবং সাংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুন করে খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য পুলিশ।

উত্তরবঙ্গের এক পাশে বাংলাদেশ সীমান্ত। এ ছাড়াও রয়েছে ভুটান ও নেপাল সীমান্ত। রয়েছে সিকিম, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও অসমের সঙ্গে সীমানা। পুলিশ সূত্রেই খবর, সীমান্ত ও সীমানা এলাকায় বারবার গোলমাল হয়েছে। কড়া নজরদারি সত্ত্বেও আগ্নেয়াস্ত্র চোরাকারবারেরও অভিযোগ উঠেছে বারবার। দুষ্কৃতীরা সহজে পালিয়েও যেতে পারে। সেই সঙ্গে, তৃণমূলের অন্দরেরই খবর, দলের অন্তর্দ্বন্দ্বেও একাধিকবার নেতারা গোলমালের মধ্যে পড়েছেন। বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন। কোচবিহারের তপসিখাতায় তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুনে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলেরই উপপ্রধান। তাই বিপদের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সেখানেও নজর রাখবে পুলিশ।

কোথায় এই বিপদের আশঙ্কা বেশি, তাই এ বার ভাল করে খতিয়ে দেখতে চাইছে পুলিশও। সরকারি সূত্রের খবর, গোয়েন্দা দফতরের পাশাপাশি জেলা পুলিশ বা কমিশনারেটের তরফে তা পর্যালোচনা করা হবে। প্রয়োজনে কোনও নেতার সুরক্ষা বাড়ানোর দরকার হলে সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। রবিবার রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের আইজি আনন্দ কুমার জেলা পুলিশকে ওই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুন করে খতিয়ে দেখতে চাইছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর, বিশেষ করে, যে সমস্ত জেলায় বিজেপির ভাল সংগঠন তৈরি হয়েছে বা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হতে পারে। তেমনই, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর বা জলপাইগুড়ির মতো জেলায় যেখানে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে রয়েছে, সেখানে কী করণীয়, তা দেখে প্রয়োজনে সতর্কতা নেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। শাসকদলের তো বটেই বিরোধী জনপ্রতিনি‌ধিদের গতিবিধি আরও বেশি করে নজর রাখা হবে।

রাজ্য পুলিশের আইজি (উত্তরবঙ্গ) বলেন, ‘‘আমরা নিয়মিত জনপ্রতিনিধিদের সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখি। জেলা পুলিশ সুপার বা পুলিশ কমিশনারেরা সরাসরি তা দেখেন। রাজ্যে একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তাই আবারও জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা কী রয়েছে তা দেখা হবে। সেই নির্দেশই রয়েছে।’’

উত্তরবঙ্গের আটটি জেলায় ৫৪টি বিধানসভা বিধায়ক, ৮ জন সাংসদ আছেন। এরমধ্যে ২৬ জন তৃণমূলের, কংগ্রেসের ১৫ জন, বামেদের ৮ জন, মোর্চার তিন জন এবং বিজেপির দুই জন বিধায়ক আছেন। মালদহের কৃষেন্দু চৌধুরী, সাবিত্রী মিত্র দফতর না থাকলেও মন্ত্রীদের মতো নিরাপত্তা পান। কিন্তু তাতে ভয় কাটছে না।

Krishanganj TMC MLA Murder Police Inner Conflict
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy