লো-কস্ট মাইক্রোস্কোপ এবং সায়েন্টিফিক-টয় তৈরি করে কেন্দ্রের “অটল ট্রিংকারিং ল্যাবরেটরি”র অনুমোদন পেল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ললিতমোহন আদর্শ হাইস্কুল। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির স্কুল পড়ুয়াদের বিজ্ঞান নিয়ে উৎসাহ দিতে অত্যাধুনিক গবেষণাগার তৈরির জন্য ওই স্কুলকে ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রের নীতি আয়োগ দফতর। সম্প্রতি কলকাতায় অনুষ্ঠিত প্রদর্শনী শিবিরে মাত্র ১৪ টাকায় হ্যান্ডি অনুবীক্ষণ যন্ত্র তৈরির সাফল্যই ওই সম্মান এনে দিল।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ট্রান্সফরমিং ইন্ডিয়া কার্যসূচিতে গোটা দেশ থেকে নীতি আয়োগ দফতরে ১৩ হাজার ১১২টি স্কুল আবেদন করেছিল। স্কুলের সার্বিক ফল ও পরিকাঠামো সহ বিজ্ঞানচর্চার বিষয় খতিয়ে দেখার পর দেশের মধ্যে ৫০০টি স্কুলকে অটল ট্রিংকারিং ল্যাবের যোগ্য বলে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়। বালুরঘাটের ললিতমোহন আদর্শ হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের নতুন ভাবনায় তৈরি দুই আবিষ্কার পিছনে ফেলে দিল সবাইকে।
স্কুলের বিজ্ঞানের দুই শিক্ষক ননীগোপাল মণ্ডল এবং পুলক চৌধুরী বলেন, ‘‘জলের বিন্দুতেও ছোট জিনিসকে বড় দেখায়। সেই ধারণাকে সামনে রেখে পড়ুয়াদের আমরা গাইড করি। লেজার টর্চের আলোকে সমান্তরাল করতে একটি লেন্স ব্যবহার করে স্কুলের তিন খুদে বিজ্ঞানী একাদশ শ্রেণির পৌলমী দাস, নীতিন সরকার এবং অমরজিত ঝাঁ অনুবীক্ষণ যন্ত্র তৈরি করে ফেলে। যন্ত্রের উপর অ্যানড্রয়েড মোবাইল রেখে অনুবীক্ষণের আসল কাজটি হয়। ৩টি স্ক্রু, ৩টি বোর্ড, ব্যাটারি এবং প্রয়োজন হলে এলইডি। খরচ মাত্র ১৪ টাকা। ছবি তুলে রাখা যায় বলে সাধারণ অনুবীক্ষণ যন্ত্রের থেকেও এটা অনেক কার্যকরী। পাশাপাশি সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়াদের সচল পুতুলের কারিগরির ভাবনাও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের কাছে বাহবা পায়।
ললিতমোহন আদর্শ হাইস্কুল ওই ল্যাবের অনুমোদন পাওয়ায় বালুরঘাটের শিক্ষামহলে খুশির হাওয়া। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে ল্যাব তৈরির জন্য ১২ লক্ষ টাকা চলে এসেছে। ল্যাবটি তৈরিতে কেন্দ্রীয় সরকার নির্ধারিত একটি বেসরকারি কারিগরি সংস্থা সহায়তা করবে।’’ ওই ল্যাবে কেবল আদর্শ হাইস্কুলের পড়ুয়ারাই নয়, আশপাশের সমস্ত স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা বিজ্ঞান গবেষণা ও সৃষ্টিশীল কাজে নিজেদের সামিল করার সুযোগ পাবে বলে অভিজিতবাবু জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy