শয্যাশায়ী ছেলে।পাশে উদ্বিগ্ন মা। ছবি: নারায়ণ দে
প্রমিস-ডেতে শয্যাশায়ী ছেলে সুস্থ হওয়ার প্রতিশ্রুতি পেলেন মা। মাস দু’য়েক আগে সলসলাবাড়ির কাছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ট্রাকের ধাক্কায় জখম হয় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র শম্ভু সিকদার। ডান পায়ের দু’টি হাড় দু’টুকরো হয়ে যায়। শিরা ও ধমনী কেটে যায়। প্রথমে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দেখিয়ে সেখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অভিযোগ, পায়ে লোহার রড বসানো হলেও হাড় জোড়া লাগানো হয়নি। উল্টে পায়ে ঘা হয়ে যায়। সেখান থেকে রেফার করা হয় কলকাতায়। দিনমজুর পরিবারের ওই ছেলের বাবা মা চেয়ে চিন্তা লক্ষাধিক টাকা খরচ করে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে পায়ের প্লাস্টিক সার্জরি করান। কিন্তু পায়ের হাড় জোড়া লাগায়নি। প্রায় দু’মাস ধরে অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করে বিছানায় ছিল ওই ছাত্রটি। সামনে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। বিষয়টি জানতে পেরেই আলিপুরদুয়ার হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য তথা তৃণমূলের যুব নেতা সমরবাবু ছাত্রটিকে বাড়ি থেকে তুলে এনে চিকিৎসক দেখিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করান। মাকে কথা দেন ছেলে হাসপাতাল থেকে হেঁটে বাড়ি ফিরবে।
আলিপুরদুয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক অনিন্দ্য সাহা জানান, ‘‘বিষয়টি জেলা হাসপাতালের কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের। বেশ কিছু যন্ত্রপাতি লাগবে। সমরবাবুর সঙ্গে কথা বলেছি। আমার কিছু টেস্টের পরে আগামী সপ্তাহে ছেলেটির পায়ের অস্ত্রোপচার করব। আশা করি ছেলেটি ফের নিজের পায়ের দাঁড়াতে পারবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy