Advertisement
E-Paper

বিজেপিতে যেতে না চাওয়ায় মারধরে জখম ছয়

তৃণমূলের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতেই বিজেপি পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৯ ০৭:৫৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

তৃণমূল ছেড়ে দলে না আসায় এক পরিবারের ছ’জনকে মারধর করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় মালদহের মানিকচক ব্লকের মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধনরাজপুর গ্রামে। রাতেই আক্রান্ত তৃণমূল সমর্থককে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চারজনকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

তৃণমূলের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতেই বিজেপি পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। বিজেপির অবশ্য দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই গোলমাল। যদিও আক্রান্ত পরিবারটি স্থানীয় বিজেপি কর্মী আদল মণ্ডল, লক্ষ্মণ মণ্ডল, দেবু মণ্ডল-সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তেরা। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের নাম বর্ধ মহালদার, তাঁর স্ত্রী প্রতিমা মহালদার, তাঁদের এক ছেলে ও মেয়ে মোহন ও রাধিকা এবং মোহনের স্ত্রী আদুরি মহালদার। বর্ধ মহালদারের এক শ্যালক হরিপদ মহালদারও গুরুতর জখম হয়েছেন। মোহন এবং তাঁর স্ত্রী আদুরির চিকিৎসা চলছে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে। বাকিরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আক্রান্ত বর্ধর আর এক ছেলে তাপস রবিবার বলেন, ‘‘শনিবার রাতে বাবা এবং ভাই মোহন মাছ ধরে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় এলাকারই বিজেপি কর্মী আদল, লক্ষণেরা দলবল নিয়ে বাবা-ভাইকে ঘিরে ধরে। বাড়ির সামনে ওরা বাবা ও ভাইকে বিজেপি যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু আমরা প্রথম থেকেই তৃণমূল করি। বিজেপিতে যে আমরা যাব না, তা আগেও ওদের জানানো হয়েছিল। বাবা ও ভাই সেই কথা তাদের ফের বলে।’’ তাপসের অভিযোগ, ‘‘তার পরই রাস্তায় ফেলে মারা হয় প্রথমে। হাঁসুয়া দিয়েও কোপানো হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা সবাই বাড়ি থেকে ছুটে যাই। বিজেপি লোকজন আমাদের উপরেও হামলা চালায়। মারধরের জেরে রক্তাক্ত অবস্থায় আমরা রাস্তায় পড়েছিলাম। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে যান।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের আগে অশান্তি পাকিয়ে এলাকা উত্তপ্ত করতে চাইছে বিজেপি। ওদের এই সন্ত্রাস কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে বিজেপি-আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র বলেন, ‘‘ঘটনার পিছনে কারা জড়িত, তা বলতে পারব না। তবে বিজেপি এই ধরনের ঘটনাকে কখনওই প্রশ্রয় দেয় না। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, পারিবারিক বিবাদের জেরে ওই গোলমাল। এখানে রাজনীতির কোনও ব্যাপারই নেই। বিজেপির নাম জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল।’’

Beating Violence TMC Injury BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy