Advertisement
১৫ অক্টোবর ২০২৪

সীমান্তে অপরাধ বন্ধে ‘দিশা’

কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর থানার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি চোরাচালানকারীদের কাছে মুক্তাঞ্চল। এই চোরাচালানে সীমান্তবর্তী গ্রামেরই একাংশ মানুষকে কাজে লাগায় কারবারিরা। অর্থের প্রলোভন দিয়ে নামানো হয় অসামাজিক কাজে।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
মালদহ শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:১৭
Share: Save:

সীমান্তে অপরাধ রুখতে মালদহ জেলা পুলিশের উদ্যোগে বছরতিনেক আগে চালু হয়েছিল দিশা প্রকল্প। প্রকল্পের মাধ্যমে সীমান্তবর্তী গ্রামের যুবকদের বিভিন্ন বিষয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রশিক্ষণ। এমনকী, ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে কাজেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল প্রশিক্ষিতদের। ফের ওই প্রকল্পের মাধ্যমে মালদহে শুরু হচ্ছে প্রশিক্ষণ। এবার সেখানে প্রশিক্ষণ নিতে উৎসাহী মহিলারাও।

কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর থানার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি চোরাচালানকারীদের কাছে মুক্তাঞ্চল। এই চোরাচালানে সীমান্তবর্তী গ্রামেরই একাংশ মানুষকে কাজে লাগায় কারবারিরা। অর্থের প্রলোভন দিয়ে নামানো হয় অসামাজিক কাজে। অনেক সময় আবার পাচারের কাজ করতে গিয়ে গ্রেফতারও হন বহু যুবক। তাই গ্রামের শিক্ষিত যুবকদের অসামাজিক কাজকর্ম থেকে দূরে রাখতে ২০১৬ সালে সীমান্তবর্তী এলাকায় চালু হয়েছিল দিশা প্রকল্প। তখন কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগর থানার সীমান্তবর্তী গ্রাম গোলাপগঞ্জ, চরি অনন্তপুর, আকন্দবেড়িয়া ও সাহাবাজপুর, কুম্ভীরা, শোভাপুর ও বাখরাবাদ গ্রামের ৮৫ জন যুবককে পলিটেকনিক কলেজে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থায় ৪৮ জন যুবক কাজের সুযোগও পেয়েছিলেন।

এবার সেই প্রকল্পে উৎসাহিত হয়ে ১২০ জন যুবক-যুবতী প্রশিক্ষণ নিতে উৎসাহিত হয়েছেন। তার মধ্যে ৩০ জন যুবতী রয়েছেন। পলিটেকনিক কলেজে ইলেকট্রিক, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, ড্রাইভিংয়ের পাশাপাশি মেয়েদের বিউটিফিকেশন কোর্সও করানো হবে। ৯ সেপ্টেম্বর থেকে প্রশিক্ষণ শুরু হবে। প্রায় দু’মাসে ৩০০ ঘণ্টার কোর্স হাতেকলমে শেখানো হবে। এ দিন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভর্তি নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য, পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক সরকার-সহ প্রশাসনের একাধিক আধিকারিকেরা। পুলিশ সুপার অর্ণব বলেন, “যুবকদের শুধু প্রশিক্ষণ দেওয়ায় নয়, কর্মসংস্থানের সুযোগেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আশা করছি, সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে অসামাজিক কাজকর্মের প্রবণতা অনেকটা কমবে।”

পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে খুশি প্রশিক্ষিতরাও। গোকুল মণ্ডল, সৌমিত্র হালদার, জয়ন্ত সরকারেরা জানান, অভাবের কারণে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর আর পড়তে পারেননি তাঁরা। তাই কখনও ভাল কাজের সুযোগ পাবেন তা ভাবতে পারেননি। পুলিশ সেই সুযোগ দিয়েছে। পলিটেকনিক কলেজে হাতেকলমে শেখার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁরা চান, সীমান্তবর্তী গ্রামের আরও যুবকেরা এগিয়ে আসুক।

অন্য বিষয়গুলি:

Border Crime Police Initiative Scheme
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE