পিটুনি: শিকলে বেঁধে মার যুবককে। নিজস্ব চিত্র।
স্ত্রীকে তালাক দেওয়ায় সালিশি সভা ডেকে হাতে দড়ি পায়ে শিকল বেঁধে স্বামীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে। তাঁকে পরিয়ে দেওয়া হয় জুতোর মালাও। রবিবার গোয়ালপোখরের গতি এলাকার ঘটনা। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ খবর পেয়ে আক্রান্তকে উদ্ধার করতে গেলে গ্রামের মাতব্বরদের বাধায় ফিরে চলে আসে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে সালিশি সভায় মারধরের নিদান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর দুয়েক আগে গোয়ালপোখর ব্লকের গতি পঞ্চায়েতের চারঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজার সঙ্গে পেশায় গাড়ি চালক সিন্ধো গ্রামের বাসিন্দা তৌফিক আলমের বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে তাঁদের দাম্পত্য বিবাদ লেগে থাকত। শনিবার রাতে ফের দু’জনের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। স্ত্রীকে মারধর করে তৌফিক ‘তিন তালাক’ দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ওই বধূ বাপের বাড়িতে এসে জানান। তার পরেই গ্রামবাসীর একাংশ ক্ষিপ্ত হয়ে রবিবার তৌফিককে ডেকে এনে সালিশি সভায় বসেন। ওই যুবক কেন স্ত্রীকে তালাক দিল, অভিযোগ তার প্রতিবাদে সভায় উপস্থিত মাতব্বররা তাঁকে দড়ি, শিকল বেঁধে মারধর করার নিদান দেন। গলায় জুতোর মালাও পরানো হয়। সালিশি সভায় মারধর করার ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ ফজলে। তিনি জানান, ওই যুবক স্ত্রীকে মারধর করে তিন তালাক দিয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে দেয় বলে অভিযোগ। গ্রামের কয়েক জন ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন। পরে তিনি গিয়ে বিষয়টির মীমাংসা করে দেন।
পুরো বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন ইসলামপুরের জেলা পুলিশ সুপার সচিন মক্কার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy