কংগ্রেসের ঘর ভেঙে পুর বোর্ড দখলের পরে জলপাইগুড়ি শহরে প্রথম শক্তি পরীক্ষার মুখোমুখি শাসকদল তৃণমূল। পুরসভার যে বিদায়ী চেয়ারম্যানকে সামনে রেখে বিগত দিনে কংগ্রেস পুর বোর্ড দখল করে তিনিই এবার ভোটে তৃণমূলের সেনাপতি। তাঁর নেতৃত্বে একক শক্তিতে বোর্ড কি শাসক দলের দখলে যাবে! নাকি স্রোতের বিরুদ্ধে চলতে অভ্যস্ত শহর মুখ ফিরিয়ে কংগ্রেসে আস্থা রাখবে! বামফ্রন্টের শক্তি বাড়বে! রাজনৈতিক শিবিরে শুরু হয়েছে পাটিগণিতের তুল্যমূল্য বিচার বিশ্লেষণ।
বৈশাখের কড়া রোদের মতো শহরের চা দোকান, রকের আড্ডায় ভোট চর্চার তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে। আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে বিদায়ী চেয়ারম্যান মোহন বসু। ২০০০ সাল থেকে পুরভোটে তিনি ছিলেন কংগ্রেসের সেনাপতি। ২০১০ সালে বামফ্রন্ট এবং ঘাসফুল শিবিরকে পর্যুদস্ত করে তাঁর নেতৃত্বে ২৫ আসনের পুরসভায় ১৬টি আসন দখল করে ক্ষমতাসীন হয় কংগ্রেস। এবার উল্টো ছবি। বিদায়ী চেয়ারম্যান তৃণমূল শিবিরের সেনাপতি। তিনি কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টকে ধরাশায়ী করার কৌশল নিয়ে ব্যস্ত।
শহরের রাজনৈতিক ক্যানভাসে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শিবির পরিবর্তনের ছবিকে ঘিরে সাধারণ মানুষ অথবা বিরোধীরা তো বটেই। শাসক দলের অন্দরেও তরজা বাড়ছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, মোহনবাবু তাঁর পুরনো দল কংগ্রেসের দুর্বলতার দিকগুলি ভাল জানেন। ওই দিক থেকে এবার ভোটে শাসক দল তৃণমূল অনেকটাই লাভবান হবে। আবার অন্য একটি অংশ মনে করছেন, মোহনবাবুকে সামনে রেখে প্রচারে নেমে তৃণমূলকে খেসারত দিতে হতে পারে। তাঁদের যুক্তি, বিদায়ী চেয়ারম্যানের দুর্বলতার দিক কংগ্রেস নেতৃত্বের ভাল জানা রয়েছে।