একমনে: শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শিলিগুড়িতে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
মাধ্যমিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ থেকে শুরু করে টুকলি। মালদহ জেলার একাধিক স্কুলে একের পর এক এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য শিক্ষা পর্ষদ। তাই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় টুকলি রুখতে বাড়তি পুলিশ বাহিনী-সহ বিভিন্ন স্কুলে বসানো হয়েছিল সিসিটিভি। তার পরেও অভিযোগ, বাংলা পরীক্ষায় বাইরে থেকে নকল সরবরাহ চললই একাধিক স্কুলে।
ইংরেজবাজারের ভর্তিটারি স্কুলে পরীক্ষার সিট পড়েছে চণ্ডীপুর এবং শোভানগর হাই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের। চণ্ডীপুরের এক যুবক বলেন, ‘‘বোন নিয়মিত পড়াশোনা করে। তবে নকল পেলে কেউ কি ছেড়ে দেবে। নম্বরের একটা ব্যাপার আছে না! তাই পুলিশের তাড়া খেতেও আমরা রাজি রয়েছি।’’ এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি ভর্তিটারি হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ।
যদিও পরীক্ষা ব্যবস্থা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি জেলা শিক্ষা দফতর ও পুলিশ প্রশাসনের। মালদহ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক তাপসকুমার দে বলেন, ‘‘সুষ্ঠু ভাবেই হয়েছে প্রথম দিনের পরীক্ষা। তবে বাইরের কী হয়েছে তা বলতে পারব না।’’
আরও পড়ুন: সামনে সুন্দরী, আড়ালে সোনা পাচার
যদিও ভর্তিটারি হাই স্কুলে এ দিন পরীক্ষার গোটা সময়পর্ব জুড়েই দেখা গেল কাগজের টুকরোর সঙ্গে ছোট ছোট মাটির ঢিল বেঁধে প্লাস্টিকে ভরে ছুঁড়ে দেওয়া হচ্ছে। কখনও পরীক্ষাকেন্দ্রের ভেতরেই, আবার কখনও শৌচাগারের জানলায়। পরে পরীক্ষার্থীরা তা সংগ্রহ করে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছচ্ছে। একই সঙ্গে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের বিভ্রান্ত করার জন্য এক দিকে জটলা করে দাঁড়িয়ে থাকছেন কিছু অভিভাবক। জটলা সরাতে যেই পুলিশ কর্মীরা যাচ্ছেন, ঠিক সেই সময় অপর প্রান্ত থেকে একদল যুবক দৌড়ে গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছে নকল।
এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদেরও মাঠে নামতে হয়েছে পুলিশের সঙ্গে নকল সরবরাহকারীদের তাড়া দিতে। উচ্চ মাধ্যমিকের মালদহের যুগ্ম আহ্বায়ক বিপ্লব গুপ্ত অবশ্য বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy