স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেলা দেখতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হলো দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী।
সোমবার গভীর রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর থানার শ্যামগঞ্জ এলাকার ঘটনা। মঙ্গলবার সকালে ছাত্রীটিকে বেহুঁশ অবস্থায় রাস্তার ধারে পড়ে থাকতে দেখে বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো পর জ্ঞান ফিরলে ছাত্রীটির মুখ থেকে অভিযুক্তদের পরিচয় জানা যায়। এরপরে লোকজন গণধর্ষণের অভিযোগ তুলে অভিযুক্তদের বাড়িতে চড়াও হয়ে ওই তিন জনকে মারধর দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কিশোরীর বাড়ি থেকে সাক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ পুলিশ সুত্রের খবর, অভিযুক্তদের মধ্যে এক জনকে এর আগে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবার পাশের পাড়ায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জলসার আসর বসেছিল। ছাত্রীটি দুই বান্ধবীর সঙ্গে ওই অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিল। রাতে ওই পাড়ায় এক বান্ধবীর বাড়িতে থেকে পরদিন সকালে বাড়ি ফিরবে বলে বাড়িতে জানিয়ে যায়। রাতে অনুষ্ঠান দেখার পর ছাত্রীটি বাড়ি ফিরে যাবে বলে বান্ধবীকে জানায়। ফলে বান্ধবীরা বাড়ি ফিরে যায়। এরপর তিন অভিযুক্ত ছাত্রীটিকে ফুঁসলে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে পাশের পাট খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। অত্যাচারে ছাত্রীটি জ্ঞান হারালে তাকে এক বান্ধবীর বাড়ির সামনে ফেলে অভিযুক্তেরা পালায় বলে অভিযোগ। এদিন দুই অভিযুক্ত দাবি করেছে, তারা ছাত্রীটির কোনও ক্ষতি করেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy