Advertisement
E-Paper

শান্তির বার্তায় পথে শিক্ষক, পড়ুয়ারা

এক দিকে, একাধিক রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে চলছে বিক্ষোভ। অন্য দিকে, শান্তি বজায় রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিতে রাস্তায় হাঁটলেন ছাত্র থেকে অধ্যক্ষ, অধ্যাপকেরা।

অভিজিৎ সাহা

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:০০
শামিল অধ্যক্ষও। নিজস্ব চিত্র

শামিল অধ্যক্ষও। নিজস্ব চিত্র

এক দিকে, একাধিক রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে চলছে বিক্ষোভ। অন্য দিকে, শান্তি বজায় রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিতে রাস্তায় হাঁটলেন ছাত্র থেকে অধ্যক্ষ, অধ্যাপকেরা। শনিবার নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ছিল মালদহের কালিয়াচক। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত অবরুদ্ধ হয়ে থাকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। দিনের ব্যস্ততম সময়ে রাস্তা অবরোধ থাকায় হয়রানির মুখে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। মালদহ সদর থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, শান্তি বজায় রাখতে টহলদারি বাড়ানো হয়েছে কালিয়াচক জুড়ে।

এ দিন দুপুর থেকেই কালিয়াচকের সুজাপুর, জালালপুর, দরিয়াপুর, চৌরঙ্গী মোড়ে জমায়েত শুরু হয়। জাতীয় পতাকা হাতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে রাস্তায় নেমে শুরু হয় আন্দোলন। এ দিন চৌরঙ্গী মোড়, জালালপুর এবং দরিয়াপুরে তিন এলাকায় দুপুর ২টো থেকে বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীর একাংশ। রাস্তায় টায়ারও জ্বালানো হয়।

প্রায় আড়াই ঘণ্টা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে থাকায় বিপাকে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। জাতীয় সড়কে তুমুল যানজটের সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে পুলিশ অবরোধ তুলে দেয়। তবে যানজট কাটাতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে।” সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তৃণমূল আড়াল থেকে আন্দোলন করাচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিজেপির নেতারা। বিজেপির মালদহ জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, “মালদহের শান্ত পরিবেশকে তৃণমূল অশান্ত করার চেষ্টা করছে। নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে।” বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের মালদহের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বলেন, “মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছে। বিজেপিই মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করছে।”

এ দিকে, শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন চালানোর বার্তা দিয়ে রাস্তায় নামলেন কালিয়াচকের সুলতানগঞ্জ কলেজের ছাত্ররা। তাঁদের সঙ্গে শামিল হলেন কলেজের অধ্যক্ষ নাজিবর রহমান এবং অন্য অধ্যাপকেরা। এ দিন কলেজ থেকে শুরু হয় মিছিল। আর শেষ হয় সুলতানগঞ্জ মোড়ে।

নাজিবর রহমান বলেন, “এনআরসির বিরুদ্ধে মানুষের আন্দোলন। আমরা সেই আন্দোলনকে সমর্থন করছি। তবে শান্তিশৃঙ্খলা এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে আন্দোলন করা উচিত সকলের। সেই বার্তা দিয়ে আমরা রাস্তায় হেঁটেছি।”

Kaliachak Peaece Rally NRC CAA Citizenship Amendment Act Student Teacher
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy