আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।
কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে বদলি হয়ে আসা চিকিৎসক রাজীব প্রসাদ মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে কাজে আসেননি। তিনি এক সপ্তাহের ছুটিতে রয়েছেন। ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের ঘর এ দিন তালাবন্ধ ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় এই মেডিক্যাল কলেজে কেন বদলি করা হয়েছে, সে প্রশ্ন তুলে সোমবার বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন আর জি কর নিয়ে আন্দোলনরত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ।
রাজীব প্রসাদ সম্প্রতি বিতর্কিত ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠছিলেন বলে অভিযোগ। রাজীব অবশ্য বলেন, ‘‘ভিত্তিহীন কথা বলা হচ্ছে। কোচবিহারে গিয়ে নতুন সুপারকে দায়িত্ব হস্তান্তর-সহ কিছু কাজ রয়েছে। সে জন্য কয়েকদিন ছুটিতে রয়েছি। ছাত্রছাত্রীরা বেশির ভাগই আমার পরিচিত। তাদের নিয়ে কিছু বলার নেই।’’
আর জি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক কালে বহুচর্চিত ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র ঘনিষ্ঠদের একাংশের ভূমিকা নিয়ে, কলেজে তাঁরা যে ‘থ্রেট কালচার’ চালান তা নিয়ে জোট বাঁধছেন পড়ুয়াদের একাংশ। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রাতে কলেজের একটি লেকচার থিয়েটারে তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা ডাকেন। সেখানে ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র বিক্ষুব্ধ টিএমসিপি’র পড়ুয়াদের একাংশও শামিল হন।
হাসপাতালের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল, নর্থ বেঙ্গল লবি সমার্থক নয়। যারা অন্য ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে, তারা খেসারত দেবে। তবে ছাত্রছাত্রীরা কী ভাবছে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যপার। আমাকে কারও তরফে কিছু জানানো হয়নি। প্রত্যেক ছাত্র বা ছাত্রী সমান অধিকার নিয়ে কলেজে থাকবে।’’ এখন এ ধরনের কথা বলা হলেও আগে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হত না? ডিন বলেন, ‘‘অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রসঙ্গ ওঠে। যখন কেউ কোনও সমস্যা নিয়ে এসেছে তখন বলা হয়েছে। আবার অনেকে এখন ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করবে।’’
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে এ দিন পিজিটি এবং জুনিয়র চিকিৎসকেরা অবস্থানে বসেননি। এ দিন আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে এবং ন্যায় বিচারের দাবিতে রক্তদান শিবির হয় কলেজে। ঘটনার পর থেকে তাঁদের কর্মবিরতি চলছে। তাতে এ দিনও বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাতে গিয়ে বিপাকে পড়েন রোগীদের একাংশ। সিনিয়র চিকিৎসকদেরই বহির্বিভাগ সামলাতে হচ্ছে। প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক কম হওয়ায় রোগীদের দেখতে দেরি হচ্ছে। লাইনে তিন-চার ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy