উল্লাস। মাধ্যমিক শেষ হওয়ার আনন্দে শিলিগুড়িতে খুশিতে মেতে উঠলেন ছাত্রীরা। সামনেই দোল। এ বার পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই তাদের হাতে এসে যায় আবিরও। বৃহস্পতিবার বিশ্বরূপ বসাকের তোলা ছবি।
পরীক্ষা শেষের আনন্দে মেতে উঠল পড়ুযারা। বৃহস্পতিবার মাধ্যমিকের জীবনবিজ্ঞান পরীক্ষা দিয়ে কেন্দ্র থেকে বার হয়েই হুল্লোড়ে মেতে ওঠে তারা। তাদের অনেককেই আবির উড়িয়ে হুল্লোড় করতে দেখা গিয়েছে। সামনেই দোল। তার আগে পরীক্ষা শেষে আজ চাপ মুক্ত বলেই তারা জানায়।
শিলিগুড়িতে হাকিমপাড়া গার্লস স্কুল, নেতাজি বালিকা বিদ্যালয়, খড়িবাড়ি, নকশালবাড়ি সর্বত্রই পরীক্ষার শেষে ছাত্রছাত্রীদের খুশিতে হইচই করতে দেখা যায়। অনেকে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বার হয়ে বন্ধুদের নিয়ে গল্পে মেতে ওঠেন। আবার অনেকে তড়িঘড়ি ফিরে গিয়ে ঘুরতে বেরোনোর পরিকল্পনা করেছে বলে জানায়। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ছেলেমেয়েদের নিতে আসা অনেক অভিভাবকদেরও মুখে হাসি। তাদের কয়েকজন জানান, পরীক্ষার সময় অন্য কাজ বাদ দিয়ে এই ক’টা দিন ব্যস্ত থাকতে হয়েছিল। সব কিছু ভাল মতো কেটে যাওয়ায় তাঁরাও খুশি। নতুন সিলেবাসে এ বার পরীক্ষা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁরাও অনেকেই চিন্তায় ছিলেন।
পর্ষদের উত্তরবঙ্গ আঞ্চলিক শাখার কর্মকর্তা আধিকারিকদের একাংশ জানান, মাধ্যমিকের সময় তাঁরাও চাপে থাকেন। এদিন মূল পরীক্ষা সব শেষ হয়ে যাওয়ায় তাঁরাও হাল্কা হলেন। শুক্রবার ‘অপশনাল ইলেকটিভ’ বিষয়ে কিছু ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দেবেন।
এ বার পরীক্ষা নিয়ে উত্তরবঙ্গে একাধিক অভিযোগ ওঠে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার দিনই মালদহে মানিকচকে একটি স্কুলে বাঁধ থেকে স্কুলের জানলা লক্ষ করে ঢিল ছোড়া হয়। ঢিলে জড়ানো ছিল টুকলির কাগজ। ওই জেলারই আরও কিছু স্কুলেও গোলমাল শুরু হয়। অনেকেই অবাধ টুকলি শুরু করে। তাতে চিন্তায় পড়ে যান মেধাবী ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকেরা। তাদের বক্তব্য, টুকলি নিয়ে হইচইয়ের মধ্যে পড়ে অনেকেই ভাল করে পরীক্ষা দিতে পারেননি।
এরপরেই পুলিশ কড়া হয়। গোড়ার দিকে পুলিশের উদাসীনতার যে অভিযোগ উঠেছিল, তা কাটাতে সচেষ্ট হয় প্রশাসন। তাতে রাশ টানা যায় টুকলিতে। তবে তার পরেও অনেক স্কুলে টুকলি হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের একটি স্কুলে কিছু পরীক্ষার্থী মোজার মধ্যে লুকিয়ে নিয়ে আসে টুকলির কাগজ।
তারপরে প্রশ্নপত্রের ছবি হোয়াট্সঅ্যাপে তুলে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠে যায়। কোন স্কুল থেকে কী ভাবে তা ছড়িয়ে পড়ল, তার খোঁজ শুরু করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এই নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্যে। তারপরেও বৃহস্পতিবারও এক ছাত্রর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে মোবাইলে টুকলি করার অভিযোগে।
এরপরে পরীক্ষা শেষে যেন অকাল দোল শুরু হয়ে গিয়েছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy