E-Paper

কৃষি-পণ্যের অভাবে সমস্যায় ‘সুফল বাংলা’

চাষিদের থেকে পণ্য কিনে স্টলের মাধ্যমে বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। প্রশাসনিক ভবন ছাড়াও, পুরসভার পার্ক, খেলার মাঠ লাগোয়া জনবহুল এলাকা বেছে স্টলটি বসানো হয়।

অভিজিৎ সাহা

শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪ ০৯:৫০
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

প্লাস্টিকের ক্রেটে সাজানো আলু, পেঁয়াজ। দাম বাজার-দর থেকে দুই বা পাঁচ টাকা কম। তবুও দিনভর এক ক্রেট আলু, পেঁয়াজ বিক্রি করতেই হিমশিম খাচ্ছেন কর্মীরা। এমনই ছবি মালদহের ‘সুফল বাংলা স্টলে’। কেন এমন ছবি? এক কর্মী জানান, দুটি কারণে সরকারি দোকানটি ধুঁকছে। এক, প্রচারের অভাবে দোকানে ক্রেতারা আসছেন না। দুই, দোকানে পর্যাপ্ত পরিমাণে পণ্য নেই। বাজার থেকে সস্তা দাম থাকলেও ক্রেতার অভাবে কার্যত ধুঁকছে মালদহ প্রশাসনিক ভবন লাগোয়া জেলার একমাত্র ‘সুফল বাংলা’র স্টল।

২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর মালদহ প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘সুফল বাংলা’ স্টলের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাষিদের থেকে পণ্য কিনে স্টলের মাধ্যমে বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। প্রশাসনিক ভবন ছাড়াও, পুরসভার পার্ক, খেলার মাঠ লাগোয়া জনবহুল এলাকা বেছে স্টলটি বসানো হয়। দিনভর মানুষের ভিড় থাকে। তবুও দিনে হাজার টাকার পণ্যসামগ্রী কেনাবেচা হয় না, দাবি কর্মীদের। অথচ, পাশে কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক পরিচালিত দোকানে দিনভর ভিড় থাকে। কেন ক্রেতা কম হচ্ছে সুফল বাংলার স্টলে, উঠছে প্রশ্ন। স্টলের এক কর্মী বলেন, “ফল, আনাজ, মাংস, দুধ, ডিমের পাশাপাশি, চাল, ডালও বিক্রি করা হয়। বাজারের থেকে অনেকটাই কম দামে। তবুও ক্রেতারা আসছেন না।” আর এক কর্মী বলেন, “প্রশাসনিক ভবনের কর্মী, আধিকারিকেরা স্টলে হাজির হলেও, সাধারণ মানুষ আসেন না। তাঁরা চান, এক ছাদের তলায় সব পণ্য কিনতে। স্টলে পর্যাপ্ত পণ্য নেই। পণ্য মজুতের জন্য গুদাম প্রয়োজন। শহরের বাসিন্দা নির্মল সরকার বলেন, “সরকারি স্টলে জিনিসপত্রের মান ভাল। তবে দোকানে গিয়ে ফিরে আসতে হয়। অধিকাংশ সময়ই চাহিদা মতো জিনিস থাকে না।”

‘সুফল বাংলা’র স্টলটি প্রচারের আলোয় আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। তাদের দাবি, ‘সুফল বাংলা’ স্টল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ফ্লেক্স টাঙানো হয়। জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, “সুফল বাংলা স্টলের পরিকাঠামো উন্নয়নের চেষ্টা চলছে। বেশি পণ্য সামগ্রী মজুতের পরিকল্পনা রয়েছে।” জেলায় একাধিক ‘সুফল বাংলা’ স্টল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

English Bazar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy