বোল্লা মন্দিরের পুরোহিতের সঙ্গে কথা সুকান্তর। নিজস্ব চিত্র
পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তরজা শুরু হয়ে গেল উত্তরবঙ্গেও। ওই আইন এ রাজ্যে কার্যকর করতে দেওয়া হবে না বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামীণ এলাকায় তা নিয়ে ইতিমধ্যেই দলের নেতা-কর্মীরা সরব হয়েছেন। তার পাল্টা জবাব দিতে যেন বিজেপি তৈরি থাকে, সেই বার্তাই বৃহস্পতিবার দিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এ দিন দক্ষিণ দিনাজপুরে বোল্লাকালী মন্দিরে তাঁর সাংসদ তহবিলের অর্থে শৌচাগার ব্লক উদ্বোধনে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই এ কথা বলেন।
‘সিএএ’ নিয়ে নতুন করে উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতারা যেমন সরব, মোকাবিলায় নামছে তৃণমূলও। মুখ্যমন্ত্রী বুধবারও বলেছেন, ওই আইন এ রাজ্যে বলবৎ করতে দেবেন না। যদিও তার বিরুদ্ধে উত্তরবঙ্গে নতুন করে জনমত তৈরি শুরু করেছে বিজেপি। দলের নেতারা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর ধারণা যে ভুল, তা বিভিন্ন পঞ্চায়েতে এবং দলীয় স্তরে বোঝানোর কাজ শুরু হয়েছে। সুকান্ত বলেন, ‘‘সিএএ কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া নয়, বরং তা দেওয়া। সংসদ এবং রাজ্যসভায় আইন পাশ হয়েছে। তা কার্যকর না হতে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভুল বোঝাচ্ছেন। আমরা উত্তরবঙ্গেও মিটিং-মিছিলে এ কথাই প্রচার করব।’’
বিজেপি সূত্রে খবর, সম্প্রতি পঞ্চায়েতের নেতাদের নিয়ে বৈঠক হচ্ছে। এর পরে গৌড়বঙ্গে এবং উত্তরবঙ্গেও চলতি মাসেই জেলাভিত্তিক বৈঠক রয়েছে দলের। মণ্ডলের নেতারা থাকবেন বলেই দলীয় সূত্রে খবর। বৈঠকগুলিতে কেন্দ্রীয় নেতারাও আসতে পারেন বলে জানান স্থানীয়রা। বিজেপির আরও এক নেতা শুভেন্দু সরকার বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় নেতারা নতুন কিছু বার্তা দেবেন আশা করছি। আমরা কর্মীদের নতুন করে সিএএ নিয়ে প্রচারে নামতে বলব।’’
তবে বিষয়টি নিয়ে নাছোড় তৃণমূলও কোমর বাঁধছে বলেই খবর। দলের দক্ষিণ দিনাজপুরের নেতা মৃণাল সরকার বলেন, ‘‘আগেও আন্দোলন করেই সিএএ রোখা হয়েছে। পঞ্চায়েতের আগে বিজেপির এ সব ভাঁওতা। মানুষকে বোঝাতে হবে।’’ দলের নেতা তথা জেলার মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘‘বিজেপি কাজ করে না। কেবল ভোট এলে রাজনীতি শুরু করে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy