বিজেপির যুব মোর্চার কর্মসূচিতে পুলিশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চেষ্টার অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছিল যুব মোর্চা। যদিও হাই কোর্টের নির্দেশে অভিযানের বদলে মিছিল এবং জনসভা হয়।
মিছিল কি উত্তরকন্যায় ঢুকবে, না কি দলের প্রতিনিধিদল উত্তরকন্যায় গিয়ে দাবিপত্র পেশ করবে— রবিবার রাত পর্যন্ত যুব মোর্চার নেতাদের কাছেও তা স্পষ্ট ছিল না। তবে পুলিশ সমস্ত প্রস্তুতিই সেরে রেখেছিল। অভিযানের আগে বিরাট পুলিশি বন্দোবস্ত, তিনবাতি মোড়ে জলকামান মোতায়েন ছিল। উত্তরকন্যায় প্রবেশের রাস্তায় দু’টি ধাপে ব্যারিকেড, পুলিশের নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতো। যা দেখে বিজেপির কর্মীদের অনেকের আশঙ্কা ছিল, মাঝপথেই হয়তো পুলিশ মিছিল আটকে দেবে। কিন্তু তা হয়নি।
এ দিন মিছিলের পরে চুনাভাটির সভামঞ্চে শুভেন্দু পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হন। পুলিশের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রের চেষ্টার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘‘হাজার হাজার যুব কর্মী উত্তরকন্যার সামনে দিয়ে মিছিল করেছেন। পুলিশ বেড়া, জলকামান এনেছিল। আর একটা উলেন রায় করবে। সে সুযোগ আপনারা দেননি।’’ একই বক্তব্য ছিল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকেরও। তিনিও উলেনের মৃত্যুর জন্য পুলিশি সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলেন। এ দিন বিরোধী দলনেতা উলেন রায়ের স্ত্রীকে মঞ্চে সম্মান জানান। মাথানত করে তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণামও করেন।
২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর বিজেপি উত্তরকন্যা অভিযান করে। সে দিন ফুলবাড়িতে ক্যানাল রোডের কাছে গুলিতে প্রাণ হারান বিজেপি কর্মী উলেন। তবে ওই সময় শুভেন্দু তৃণমূলে ছিলেন। ছিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী। এইঘটনার কয়েক দিন পরেই তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। এ দিন তার রেশ ধরে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘‘বিজেপি ঝামেলা না করলে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হয় না। এ দিন ভদ্র ছেলের মতো মিছিল করেছে। তাই পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হয়নি। এর থেকেই বোঝা যায়, বিজেপির ঝামেলাতেই ২০২০ সালে উলেনের মৃত্যু হয়।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)