চিংড়ি মাছ কত করে ? জবাবে অন্যমনস্ক বিক্রেতা বললেন, ৬০০ টাকা কেজি। দাম বাড়ল কেন ক্রেতা জানতে চাইলে বিরক্ত বিক্রেতার উত্তর চিংড়ির ঘাটতি রয়েছে। বিরক্তি নিয়ে মুখ তুলতেই দেখলেন সামনে দাঁড়িয়ে এক ঝাঁক আধিকারিক। প্রশ্নকর্তা মহকুমাশাসক।
মহকুমাশাসক বিক্রেতাকে জানিয়ে দিলেন, দিঘায় চিংড়ির জোগানের কোনও ঘাটতি নেই। শুক্রবার সকালে জলপাইগুড়ির অন্যতম বড় পাইকারি এবং খুচরো বাজারে পরিদর্শন চালাল প্রশাসনের দল। জলপাইগুড়ির মহকুমাশাসক (সদর) তমোজিৎ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে জলপাইগুড়িতে আনাজ-পাতি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামে নজরদারি চলে।
গত বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাম্প্রতিক আবহে কালোবাজারি রুখতে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলায় জেলায় টাস্কফোর্স সহ আধিকারিকদের হঠাত পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালেই বাজারে পরিদর্শন শুরু করেছে প্রশাসন।
পরিদর্শনে কৃষি বিপণন দফতর থেকে শুরু করে খাদ্য সুরক্ষা, দুর্নীতি দমন শাখা সহ টাস্কফোর্সের সদস্যরা ছিলেন। এ দিন বাজারে যা দাম তার সঙ্গে গত কয়েকসপ্তাহের দাম মিলিয়ে দেখেছে প্রশাসন। দাম যেন হঠাত করে না বেড়ে যায় সেই নির্দেশও দিয়েছেন আধিকারিকেরা।
সতর্ক শিলিগুড়ি বৃহত্তর খুচরো ব্যবসায়ী সমিতিও। তাদের তরফে খুচরো ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে জানানো হয়েছে পাইকারি বাজারে কোথায় দাম বেশি চাইলে তা সংগঠনকে জানাতে। শিলিগুড়ি নিবেদিতা রোড ফুটপাথ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রাম সাহা বলেন, “এ সময় কোনও অসাধু কারবার যাতে না হয় আমরাও তা খেয়াল রাখছি।’’
জেলায় জেলায় টাস্ক ফোর্স সক্রিয় হয়েছে। আচমকা বিভিন্ন বাজারে অভিযানের নির্দেশ এসেছে জেলায়। শিলিগুড়ির অন্যতম পাইকারি বাজার নয়া বাজার কমিটির তরফে সুভাষ আগরওয়াল বলেন, “ব্যবসায়ীদের সকলকে কালোবাজারি হচ্ছে কিনা নজর রাখতে বলা হয়েছে। আশা করি ব্যবসায়ীরা সর্তক এবং সচেতন থাকবেন।”
প্রশাসনের তরফেও টাস্ক ফোর্স করে বাজারগুলেতে পরিদর্শন প্রয়োজন মতো হবে বলো জানানো হয়েছে। ফল, আনাজ, মাছের উত্তরপূর্ব ভারতের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজার এবং খালপাড়া-নয়াবাজার। বাজারে নজরদারি রাখা হচ্ছে বলে জানান নিয়ন্ত্রিত সমিতির সচিব অনুপম মিত্র। প্রশাসনের তরফের নজরদারি, খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। কোনও রকম অসাধু কারবারের চেষ্টা দেখলে কড়া ব্যবস্থার কথা জানানো হয়েছে। শিলিগুড়ি পুরসভার তরফে প্রশাসন এবং ব্যাবসায়ী সমিতির সঙ্গে বৈঠক করে নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র গৌতম দেব। তিনি বলেন, ‘‘নজরদারি সর্বত্র রাখা হবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)