E-Paper

আমেরিকার বিকল্প বাজার খুঁজছে চা পর্ষদ

সোমবার দুপুরের পরে চা পর্ষদের একটি ই-মেল গিয়েছে দেশের চা উৎপাদক বিভিন্ন সংস্থার কাছে। জানতে চাওয়া হয়েছে তারা কত পরিমান চা আমেরিকায় পাঠায়, এখনও পর্যন্ত পুরোনো বরাতের কী খবর এবং বিশ্বে আর কোথায় ভারতীয় চায়ের জন্য নতুন বাজার আছে?

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২৫ ০৮:০৪
আমেরিকায় যে মানের চা পাঠানো হয় তার সবটা দেশের বাজারে বিক্রি হয়ে যাওয়া কষ্টকল্পনা বলে দাবি।

আমেরিকায় যে মানের চা পাঠানো হয় তার সবটা দেশের বাজারে বিক্রি হয়ে যাওয়া কষ্টকল্পনা বলে দাবি। —প্রতীকী চিত্র।

বছরে পৌনে দু’ কোটি কেজির কিছু বেশি চা। মূল্য প্রায় ৭০০ কোটি। বিশ্বের কোন নতুন প্রান্তে এই চা বিক্রি করা যায়, ভাবছে ভারতীয় চা পর্ষদ। শুধু নিজেরাই ভাবছেন এমন নয়, ভাবাচ্ছেনও। ওই প্রায় পৌনে দু’ কোটি কেজি চা এতদিন আমেরিকায় রফতানি হয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকা রফতানি শুল্ক বৃদ্ধি করছে। যার ফলে পৌনে দু’ কোটি কেজি চায়ের ভবিষ্যত নিয়ে রক্তচাপ বাড়ছে পর্ষদের। সোমবার দুপুরের পরে চা পর্ষদের একটি ই-মেল গিয়েছে দেশের চা উৎপাদক বিভিন্ন সংস্থার কাছে। জানতে চাওয়া হয়েছে তারা কত পরিমান চা আমেরিকায় পাঠায়, এখনও পর্যন্ত পুরোনো বরাতের কী খবর এবং বিশ্বে আর কোথায় ভারতীয় চায়ের জন্য নতুন বাজার আছে?

সোমবার ই-মেল পাঠিয়ে মঙ্গলবারের মধ্যে উৎপাদকদের জবাব তলব করা হয়েছে। চা পর্ষদ জানিয়েছে সব প্রস্তাব পাঠানো হবে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রকে৷ কোনও নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। চা পর্ষদের আধিকারিকদের একাংশ মনে করাচ্ছেন এমনিতেই দেশের বাজারে চা উদ্বৃত্ত। তার উপর নতুন করে পৌনে দু’ কোটি কেজি চায়ের বোঝা দেশে বাড়লে তার বাজার কোথায়?

আমেরিকায় যে মানের চা পাঠানো হয় তার সবটা দেশের বাজারে বিক্রি হয়ে যাওয়া কষ্টকল্পনা বলে দাবি। চা পর্ষদের এক আধিকারিক বলেন, “আমেরিকায় চা সরাসরি যেতে না পারলে ঘুর পথে যেতে পারে। কিন্তু তার ভরসায় তো বসে থাকা যাবে না। তাই আগে থেকেই পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে।”

কিছুদিন আগে চা-কে স্বাস্থ্যকর পানীয় বলে ঘোষণা করেছিল আমেরিকা। সেই ঘোষণাকে সুখবর দাবি করে চা রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধির আশা করেছিলেন উৎপাদকেরা। ব্রিটেনে মুক্তশুল্ক বাণিজ্য নীতি ঘোষণা হওয়ার পরেও খুশির হাওয়া ছিল চা বলয়ে। কিন্তু আমেরিকার শুল্ক নীতির কারণে আপাতত চায়ে সঙ্কট ঘনিয়েছে। গ্রিনটি, বড় পাতারসুগন্ধী চা থেকে উন্নত মানের সিটিসি, হাতে তৈরি চা-ও আমেরিকায় যায়। ছোট চা চাষিদের সর্বভারতীয় সংগঠন সিস্টা-র সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “চা পর্ষদের ই-মেল পেয়েছি। আমাদের প্রস্তাবও পাঠিয়েছি। নতুন নতুন দেশে চা বিপণনের সম্ভাবনা যথেষ্ঠ রয়েছে। তারজন্য চাই আগ্রামী বিজ্ঞাপন এবং চমকপ্রদ বিপণন নীতি।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Export Tea

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy