Advertisement
E-Paper

সহপাঠিনীকে পুড়িয়ে মেরে অভিযুক্ত কিশোর

পড়শি কিশোরের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠছে জানতে পেরে বেঁকে বসেছিলেন বাড়ির লোক। জানিয়ে দিয়েছিলেন— বিয়ে কোনও মতেই নয়। বাড়ির অমতে বিয়েতে রাজি হয়নি ওই স্কুলছাত্রী হাসিনা খাতুনও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৫ ০২:১৭
হাসিনা খাতুন

হাসিনা খাতুন

পড়শি কিশোরের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠছে জানতে পেরে বেঁকে বসেছিলেন বাড়ির লোক। জানিয়ে দিয়েছিলেন— বিয়ে কোনও মতেই নয়।

বাড়ির অমতে বিয়েতে রাজি হয়নি ওই স্কুলছাত্রী হাসিনা খাতুনও। আর, তার জেরে দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে গ্রামের কলাবাগানে ডেকে নিয়ে গিয়ে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে, মেয়েটির সহপাঠী ওই কিশোরের বিরুদ্ধে।

রবিবার রাতে মালদহের নিয়ামতপুরে ওই ঘটনার পরে সতেরো বছরের ওই কিশোরের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন হাসিনার মা। তবে নিয়ামতপুরেরই বাসিন্দা, ওই কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনাটি নিছকই আত্মহত্যা বলে দাবি করা হয়েছে।

মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মেয়েটির পরিবার খুনের অভিযোগ করেছে। তদন্তও শুরু হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকেই ছেলেটির খোঁজ মেলেনি। তবে কিশোরীর মোবাইটি ফোনটি পাওয়া গিয়েছে। সেটি বড় সূত্র হয়ে উঠতে পারে।’’

স্থানীয় নঘরিয়া হাইস্কুলে দ্বাদশ শ্রেণিতে হাসিনার সঙ্গেই পড়ত ওই কিশোর। পুলিশ জানাচ্ছে, বেশ কিছু দিন ধরে তাদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তবে দু’বাড়ির লোকজন তা টের পাননি।

হাসিনার বাবা আলম শেখ মোবাইলের টাওয়ার তৈরির কাজ করেন। বেশির ভাগ সময়েই তাঁর কাটে ভিন্ রাজ্যে। তাঁর বড় মেয়ে হাসিনা যে সহপাঠীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে তা জানতেন না তিনি। রবিবারও তিনি ছিলেন রাজ্যের বাইরে।

ওই কিশোরের বাবা মঞ্জুর শেখ অবশ্য জানিয়েছেন, ছেলের সঙ্গে ওই মেয়েটির বছর চারেক সম্পর্ক ছিল বলে সম্প্রতি জানতে পেরেছেন তাঁরা। হাসিনার পরিবার সূত্রে দাবি, বিয়েতে তাঁদের আপত্তির কথা জানতে পেরে বেশ কয়েক দিন ধরেই পালিয়ে বিয়ে করার জন্য চাপাচাপি করছিল ওই কিশোর। রবিবার সন্ধ্যায় হাসিনাকে বাড়ির লাগোয়া কলাবাগানে ডেকে পাঠায় সে। সেখানেই মেয়ের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ওই কিশোর বলে অভিযোগ করেছেন ওই কিশোরীর মা তানজুরা বিবি। মেয়েটির চিৎকারে পরিবারের লোকেরা ছুটে যেতেই পালিয়ে যায় সে। বাড়ির লোকেরা অগ্নিদগ্ধ হাসিনাকে ভর্তি করেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই মারা যায় সে।

Malda Teenage girl hasina khatun mobile
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy