ফলের-অপেক্ষা: মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, লোকসভার ফল জানতে টিভি সারানোর উদ্যোগ।
এত দিন ঘরে খারাপ হয়ে পড়ে ছিল। ঠিক করার জন্য খুব একটা গুরুত্ব দেননি। কিন্তু ২১ মে থেকে ২৭ মে এই সাত দিনে পরপর তিনটি পরীক্ষার ফলপ্রকাশ। প্রথমে মাধ্যমিকের ফল, তার পরে লোকসভা ভোট আর তারও পরে উচ্চ মাধ্যমিক। তাই যাঁর বাড়িতেই টেলিভিশন খারাপ, তিনি আর তা অবহেলা করতে পারছেন না। সারাই করতে ছুটছেন দোকানে।
চ্যাংরাবান্ধা এলাকায় টিভি সারানোর কাজ করেন মানিক সূত্রধর, মনোরঞ্জন বর্মনরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান পুজো সেরে হালকা খাবার খেয়ে দোকানে গিয়ে গ্রাহকদের জন্য অপেক্ষা করা। সারা বছরের এই রুটিনে তাঁরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে সেই রুটিনে বদল এসেছে। এখন ঘুম থেকে ওঠার আগেই বাড়িতে গ্রাহক এসে হাজির। দোকানে গিয়েও কাজ বেড়েছে। দুপুরে ঠিক সময়ে বাড়ি এসে খাওয়া হয় না। রাতেও দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরতে দেরি হচ্ছে কাজের চাপে।
মেখলিগঞ্জ শহরের টিভি সারাইয়ের কাজ করেন কেশব মণ্ডস। তিনি বলেন, এমনিতে সারা বছর এমন দিনও যায় যখন সারা দিনে একটি টিভিও সারাইয়ের জন্য আসে না। কিন্তু গত কয়েক দিনে দৈনিক ৫ থেকে ৬টি টিভি ঠিক করতে হচ্ছে। লোকসভা ভোট শুরুর সময় থেকে এই কাজ বেড়েছে। আর গত কয়েকদিনে তা ব্যাপক ভাবে বেড়েছে। সোমবার ওই দোকানে গিয়ে দেখা গেল বেশ কয়েক জন টিভি ঠিক করতে দিয়ে অপেক্ষা করছেন। তাঁদের মধ্যে থাকা ৭০ মেখলিগঞ্জের অজয় অধিকারী বলেন, ‘‘মঙ্গলবার মাধ্যমিকের রেজাল্ট বের হবে। তারপর লোকসভা ও উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট। ঘরে বসেই এই তিন রেজাল্ট জানার জন্য একটা পুরোনো টিভি কিনেছি। কিছু সমস্যা আছে তাই ওই টিভি ঠিক করতে এসেছি।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
মেখলিগঞ্জ পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুশান্ত বর্মন পেশায় গাড়ি চালক। তিনি লোকসভার ফল জানার জন্য বাড়িতে খারাপ হয়ে পড়ে থাকা টিভি দোকানে নিয়ে গিয়েছেন ঠিক করতে।
নিজতরফের আকাশ বর্মন কলেজে পড়ে। রাজনীতি নিয়ে আকাশের খুব একটা আগ্রহ না থাকলেও বাড়িতে দুই ভাইবোন আছে। যার একজন এ বছর মাধ্যমিক দিয়েছে আর একজন আগামী বছর উচ্চ মাধ্যমিক দেবে। সেকারণে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিকে কোন জেলার ছেলে মেয়েরা কেমন ফল করে তা জানতে সে আগ্রহী। তাই খারাপ টিভি নিয়ে সেও লাইনে দাঁড়িয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy