প্রতীকী ছবি।
১২ বছর পর জলপাইগুড়ি জেলা বইমেলা মালবাজারে ফিরে এসেছে। অনেক আবেদন নিবেদনের পর অবশেষে জেলা বইমেলা মালবাজারে ফেরায় আয়োজনের কোনই খামতি রাখতে চাইছেন না উদ্যোক্তারা। আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত বইমেলা চলবে। বইমেলার উদ্বোধনের অনুষ্ঠানেও চমক থাকছে। প্রখ্যাত সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় শৈশবে বাবার রেলের চাকরির সুবাদে মালবাজারে কিছু সময় ছিলেন। এবারে বইমেলার তিনিই উদ্বোধক।
বইমেলার মঞ্চ থেকেই শীর্ষেন্দুবাবুকে শহরের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান প্রদান করা হবে। বইমেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা জানান মালবাজার শহরে শীর্ষেন্দুবাবুর নাড়ির টান তাই বইমেলায় ওনার থেকে ভাল উদ্বোধক আর কেউই হতে পারেন না। তবে শীর্ষেবাবু একা নন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকছেন স্বর্ণযুগের নায়িকা মাধবী মুখোপাধ্যায়ও।
বইমেলায় ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে আলোচনাচক্রও আয়োজিত হবে, ২৮ ডিসেম্বর চলচ্চিত্র ও সাহিত্য, একাল ও সেকাল এই বিষয়ের উপরে আলোচনার কেন্দ্রে থাকবেন চারুলতার নায়িকা মাধবীদেবী। কবি সম্মেলনেও চমক থাকছে. সেই সঙ্গে বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে বেশ কিছু তথ্যচিত্রও প্রদর্শিত হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে লক্ষ্মণ দাস বাউলের গান, রাজস্থানি নৃত্যের মতো অনুষ্ঠান থাকছে। মেলার সমাপ্তিতে উপস্থিত থাকবেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব।
এই যাবতীয় আয়োজনের সব কিছু একার হাতে তদারকি করছেন মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা। স্বপন বাবু বলেন, ‘‘গ্রন্থাগার দফতর থেকে যা বরাদ্দ আসে তাতে আমাদের যা আয়োজন তার সবটা পূরণ হবে না তাই আমরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে বাড়তি অর্থ সংগ্রহ করছি।’’ মালবাজারের এই বইমেলা আয়োজন এতটাই সফল ভাবে তুলে ধরতে হবে যাতে শুধু জেলা স্তরে নয় রাজ্যস্তরেও পৌঁছে দিতেই সকলকে একযোগে এগিয়ে আসার বার্তা তিনি দেন। বড়দিনের মরসুমে মালবাজার শহরকে পর্যটক দের জন্যে সাজিয়ে তোলা হয়। সেই সময়ে বইমেলা আয়োজিত হওয়ায় পর্যটকদেরও তাতে যুক্ত করার ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy