এখনও আশঙ্কাজনক কালিয়াচকের আকন্দবেড়িয়া গ্রামের স্কুল ছাত্রী যূথিকা মণ্ডল। তাঁর শরীর থেকে এখনও গুলি বের করা যায়নি। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হওয়ায় গুলি বের করা যায়নি। গুলিটি বের করতে সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে বলে চিকিৎসকদের দাবি। এই ঘটনায় আকন্দবেড়িয়া গ্রাম থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে রামপ্রসাদ মণ্ডল ও সাধন মণ্ডল নামে দুই অভিযুক্তকে। তবে মূল অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হওয়ায় আতঙ্কে ভুগছে যূথিকার পরিবার।
শনিবার রাতে কালিয়াচক থানার আকন্দবেড়িয়ায় কাকা হিমেন মণ্ডলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গুলি লাগে যূথিকার কোমরের ডান দিকে। গুরুতর জখম অবস্থায় মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয় তাকে। হাসপাতাল সুপার তথা সহ অধ্যক্ষ অমিতকুমার দাঁ বলেন, ‘‘ক্ষত সেরে উঠলে অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হবে।’’
অভিযোগ, গত বছর দুর্গা পুজোর নবমীর সকালে স্থানীয় বিজেপি নেতা রাম মণ্ডলকে বাড়িতেই বোমা ছুড়ে খুন করা হয়। এই ঘটনায় অভিযোগের তির ছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রামবাবুর দুই আত্মীয়, হিমেন ও যূথিকার বাবা ছবিলাল মণ্ডল গোলাপগঞ্জ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করে। তবে বাকি অভিযুক্তরা একনও ফেরার। তারাই মামলা প্রত্যাহারের জন্য হিমেন ও ছবিলালদের হুমকি দিচ্ছিল। তা সত্ত্বেও মামলা প্রত্যাহার না করায় ওই রাতে হিমেনের উপরে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। হিমেন রক্ষা পেলেও গুলিবিদ্ধ হয় যূথিকা।
হিমেন বলেন, ‘‘সুনীলরা গ্রেফতার না হলে আমাদের উপরে চাপ আসবেই। তাই দ্রুত তাদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি আমরা।’’ মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘ঘটনায় দু’জন গ্রেফতার হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy