Advertisement
E-Paper

ছেলের শোকে কথা হারিয়েছেন সুভাষের মা

স্বামী মারা গিয়েছে বছর কুড়ি আগে। তারপর থেকে তিনিই ঘিরে রেখেছেন চার ছেলে আর তিন মেয়েকে। ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী পবিত্রদেবী পুরোপুরি ভাষাহারা তাঁর বড় ছেলের মৃত্যুর খবরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৭ ০৪:৫৯
শয্যাশায়ী: সুভাষ রায়ের মা পবিত্রদেবী। নিজস্ব চিত্র

শয্যাশায়ী: সুভাষ রায়ের মা পবিত্রদেবী। নিজস্ব চিত্র

স্বামী মারা গিয়েছে বছর কুড়ি আগে। তারপর থেকে তিনিই ঘিরে রেখেছেন চার ছেলে আর তিন মেয়েকে। ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী পবিত্রদেবী পুরোপুরি ভাষাহারা তাঁর বড় ছেলের মৃত্যুর খবরে।

বৃহস্পতিবার তৃণমূলের পার্টি অফিসে আটকে রেখে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় পবিত্রদেবীর বড়ছেলে সুভাষ রায়কে। সুভাষবাবু নিজেও এলাকার পরিচিত তৃণমূল কর্মী। কিন্তু দলের এক শ্রেণির নেতার তোলাবাজি বরদাস্ত করতে পারেননি। সরব হওয়ার খেসারতই দিতে হয়েছে জীবন দিয়ে। তার পরেই বেড়ে গিয়েছে পবিত্রদেবীর অসুস্থতা। সুভাষবাবুর ভাই, পবিত্রদেবীর ছোট ছেলে মানিক বলেন, “মায়ের কিছু হলে দায়ী থাকবেন ওই নেতারাই।”

সুভাষবাবুর ছেলে বাবলা কর্মসূত্রে থাকেন দিল্লিতে। তিনি ফেরার পর শনিবার সুভাষবাবুর দেহ দাহ করা হয়। তাঁদের এক আত্মীয় গণেশ রায় বলেন, “সুভাষের মৃত্যু তাঁর মা মেনে নিতে পারছেন না। কারও পক্ষেই এটা সম্ভব নয়। বার বার ঈশারায় বলছেন কেন তাঁর মৃত্যু হল না। কেন সুভাষের মৃত্যু হল।” কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন,“খুবই বেদনাদায়ক ঘটনা। মানা যায় না।”

সুভাষবাবুকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় মুল অভিযুক্ত পাঁচছড়ার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কালীশঙ্কর রায় ও তাঁর অনুগামীরা। ঘটনার পর থেকেই তাঁরা পলাতক। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” ওই এলাকার তৃণমূল কর্মীরাই অভিযু্ক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন বলে সুভাষবাবুর পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে।

Death Son Mother Shock
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy