Advertisement
E-Paper

ডেঙ্গি নিয়ে ফের তরজা

ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজে জোর দিতে কী করা হচ্ছে? পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা হচ্ছে। এ দিনও মেয়র, সাফাই বিভাগের মেয়র পারিষদ, পুরসভার সচিবরা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পরিস্থিতি দেখেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:০৮
লড়াই: মশা থেকে বাঁচতে। শিলিগুড়িতে। নিজস্ব চিত্র

লড়াই: মশা থেকে বাঁচতে। শিলিগুড়িতে। নিজস্ব চিত্র

ডেঙ্গি প্রতিরোধে প্রচার যে যথাযথ হচ্ছে না, তা স্বীকার করলেন শিলিগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার বরো চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড মাস্টর, স্যানিটরি ইন্সপেক্টরদের নিয়ে বৈঠক হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর ক্লাব এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে ডাকা হয়েছে। ডেঙ্গি প্রতিরোধে পথনাটক করে প্রচার হবে পুরসভার উদ্যোগে।

এ দিন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ডেঙ্গি প্রতিরোধে প্রচার আরও নিবিড় ভাবে করা দরকার। ওয়ার্ড স্তরে ওই কাজে জোর দেওয়া হবে। ক্লাব এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকেও ডেকে দ্রুত প্রচারে নামতে জানানো হবে।’’ শহরে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। হাসপাতাল, নার্সিংহোমে জ্বর ও ডেঙ্গি আক্রান্তদের ভিড় লেগেই রয়েছে।

ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজে জোর দিতে কী করা হচ্ছে? পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা হচ্ছে। এ দিনও মেয়র, সাফাই বিভাগের মেয়র পারিষদ, পুরসভার সচিবরা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পরিস্থিতি দেখেন। প্রতিটি বরোতে আরও ১০ জন করে বাড়তি লোক নেওয়া হচ্ছে ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজে লাগানোর জন্য। মশার লার্ভা মারতে স্প্রে এবং ধোঁয়া ছড়ানোর আরও যন্ত্র কেনা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে আরও তিন দফায় সমীক্ষা করবেন পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা। ওই কাজে যুক্ত রয়েছেন ৮১০ জন। পুজো কমিটিগুলোকে মণ্ডপে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা প্রচার করতে বলা হচ্ছে। ১৫ সেপ্টেম্বর একটি নাগরিক সভা ডাকা হয়েছে। সেখানেও ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা, সচেতনতা প্রচার হবে। হবে পথ নাটকও।

সোমবার নিজের ওয়ার্ডে ডেঙ্গিতে মৃত এক ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার কাজ পুরসভা ঠিক ভাবে করেনি বলে অভিযোগ তোলেন। ওই কাজে রাজ্যে ইতিমধ্যেই ৬০ লক্ষ টাকা দিয়েছে। মেয়রের দাবি, মশার লার্ভা মারতে ২০১৫-২০১৬ এবং ২০১৬-২০১৭ সালে ৩৫ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ২০১৭-২০১৮ আর্থিক বছরে ওই খাতে কোনও টাকা এখনও মেলেনি। মাসে দু’বার ৫ দিন করে আট দফা বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা হয়েছে। ৬০ লক্ষ টাকার পুরোটাই দেওয়া হয়েছে ওই কাজের জন্য।

বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘রাজ্যের তরফে পুরসভাকে সাহায্য করা হলেও মেয়র মানতে চাইছেন না। ৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে যে সমীক্ষার কাজ করার কথা তা ঠিক মতো হয়নি। বাড়িতে ঢুকে বাসিন্দাদের সচেতন করা, জল জম আছে কি না দেখা এ সব দায়সাড়া ভাবে হয়েছে। ধোঁয়া দেওয়া, স্প্রে করার জন্য পর্যাপ্ত যন্ত্র নেই।’’

শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে বাসিন্দাদের অনেকের প্রশ্ন রয়েছে বলে অভিযোগ মেয়রের। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঠিক সময়ে রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট মিলছে না। প্লেটলেট পেতেও হয়রান হতে হচ্ছে। বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরকেই দেখতে হবে বলে মেয়রের দাবি।

Dengue Malaria Awareness of Dengue ডেঙ্গি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy