ছমাসের মাথায় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি বদল হল।
সোমবার রানাবাবুর কাছে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সই করা নিয়োগপত্র পৌঁছয়। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সদ্য নিয়োগপত্র পাওয়া তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি রাণা বসু বলেন, “সংগঠনের জেলা সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে ভাল লাগছে। সংগঠনের রাজ্য সভাপতির ওই আস্থার মর্যাদা রক্ষার চেষ্টায় খামতি রাখব না। নতুন করে সংগঠন ঢেলে সাজাতে সংগঠনের সমস্ত কমিটি এ দিন থেকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।”
তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর তথা প্রয়াত পুরসভা চেয়ারম্যান বীরেন কুণ্ডুর ছেলে শুভজিৎ কুণ্ডুকে গত ডিসেম্বরে সংগঠনের জেলা সভাপতি ও রানা বসুকে কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুই যুব নেতার অনুগামীদের গোষ্ঠী কোন্দল একাধিকবার প্রকাশ্যে আসে। পুরসভা ভোটেও কোচবিহারের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে স্ত্রী অন্তরা বসু তৃণমূলের টিকিটে লড়ে নির্দল প্রার্থীর বিরুদ্ধে হেরে যাওয়ার পর রানাবাবু অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তোলেন। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য নেতাদের কাছেও অভিযোগ পৌঁছয়। সবমিলিয়েই গোষ্ঠী কোন্দলে ‘বিরক্ত’ রাজ্য নেতৃত্ব সংগঠন ঢেলে সাজতে ওই সিদ্ধান্ত নেন বলে দলের একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে। তৃণমূল জেলা সভাপতির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শুভজিৎবাবুকে সরিয়ে রানা বসুকে দায়িত্ব দেওয়ার ঘটনা ঘিরে তৃণমূলের অন্দরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। শুভজিৎবাবু অবশ্য বলেন, “রাজ্য নেতৃত্বের তরফে এমন কোনও ঘটনার কথা আমাকে জানাননি। ফলে ওই বিষয়টি আমার জানা নেই।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “ওই ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সহ সভাপতি আবদুল জলিল আহমেদ বলেন, “যুব সভাপতি বদলের বিষয়টি শুনেছি। রানাবাবুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়ে থাকলে ভালই হবে।”