Advertisement
E-Paper

কী করে ইংরেজিতে, ভেবে আকুল দুই স্কুল

তাই বর্তমান পরিকাঠামোর মধ্যে কী ভাবে তা চালু করা সম্ভব, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে দুই স্কুল কর্তৃপক্ষই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:০৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

একেই পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, ১৪-১৫ জন করে শিক্ষকের পদ ফাঁকা। তার উপর শ্রেণি কক্ষেরও সমস্যা। এরই মধ্যে শিলিগুড়ি বয়েজ হাই স্কুল এবং শিলিগুড়ি গার্লস স্কুলে ইংরেজি মাধ্যমেও পড়াশোনা চালুর অনুমোদন মিলেছে। এখনই নতুন শিক্ষক বা শ্রেণি কক্ষ মিলছে না। তাই বর্তমান পরিকাঠামোর মধ্যে কী ভাবে তা চালু করা সম্ভব, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে দুই স্কুল কর্তৃপক্ষই।

মঙ্গলবার বিকেলেই দুই স্কুলে ইংরেজি মাধ্যম চালু করার বিষয়টি অনুমোদন মিলেছে বলে স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে জানানো হয়। বুধবার স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে দুই স্কুল কর্তৃপক্ষকেও অনুমোদনের চিঠিও পাঠানো হয়েছে। এই শিক্ষাবর্ষ থেকে বাংলা মাধ্যমের পাশাপাশি পঞ্চমশ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ইংরেজি মাধ্যমেও পড়াশোনা চালুর অনুমোদন দেওয়ায় কোন ক্লাসে শুরু করা হবে, তা নিয়ে উভয় স্কুল কর্তৃপক্ষই পরিচালন কমিটির বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে আলোচনা করেই তারা ঠিক করতে চান। স্কুল পরিদশর্কের দফতরের একাংশও মনে করছেন শুরুতে স্কুলগুলিতে দুই একটি ক্লাসে ইংরেজি মাধ্যম চালু করে সামলানো যাবে। কিন্তু তার পর পরিকাঠামো ঠিক না করলে সমস্যা বাড়বে।

শিলিগুড়ি গার্লস স্কুল সূত্রেই খবর, তাদের প্রায় আড়াই হাজার ছাত্রী পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। শিক্ষিকা সব মিলিয়ে ৪৩ জন। ১৪ জন শিক্ষিকার পদ ফাঁকা। ভৌত বিজ্ঞানের স্থায়ী কোনও শিক্ষক নেই। আংশিক সময়ের একজন শিক্ষিকাকে দিয়ে চালাতে হচ্ছে। সংস্কৃতেও একই পরিস্থিতি। ২ জন আংশিক সময়ের শিক্ষিকা চালাচ্ছেন। অথচ একাদশ শ্রেণিতেই একশোর কাছাকাছি এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে শতাধিক ছাত্রী রয়েছেন। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি শ্রেণিতে চারটি করে সেকশন। গড়ে ৩০০ ছাত্রী প্রতিটি ক্লাসে। এই পরিস্থিতিতে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা শুরু করতে শিক্ষক এবং শ্রেণি কক্ষ দুটোই দরকার বলে জানান প্রধান শিক্ষিকা সেফালি সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘ইংরেজি মাধ্যম চালু হওয়ার বিষয়টি ভাল ব্যাপার। কিন্তু শিক্ষিকা দরকার। আপাতত তাই কোন ক্লাসে ইংরেজি মাধ্যম চালু করা যায় পরিচালন কমিটির বৈঠকে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ এর আগে স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে ইংরেজি মাধ্যম চালুর বিষয়টি নিয়ে প্রস্তাব দেওয়া হলে রাজি ছিল গার্লস স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে যে ক’জন শিক্ষিকা রয়েছেন তা দিয়ে যে কোনও ভাবেই সম্ভব নয় তাও জানিয়েছিলেন।

শিলিগুড়ি বয়েজ হাই স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক ক্ষিতীশ বর্মন, পরিচালন কমিটির সভাপতি মধুসূদন চক্রবর্তী জানান, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে না পঞ্চম শ্রেণিতে এ বছর থেকে বংলা মাধ্যমের পাশপাশি ইংরেজি মাধ্যম পড়াশোনা শুরু হবে তা আলোচনা করে ঠিক করতে হবে। তবে এই সরাকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তাঁরা।

বয়েজ হাই স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত দুই হাজার চারশো জনের মতো পড়ুয়া রয়েছে। তাঁদের শিক্ষক রয়েছে ৪৫ জন। ১৫ জন শিক্ষকের পদ ফাঁকা পড়ে। প্রতিটি বিষয়ে যেখানে চার, পাঁচ জন করে শিক্ষকের প্রয়োজন সেখানে অঙ্কে, ভৌত বিজ্ঞানে ২ জন করে মাত্র শিক্ষক রয়েছেন। বাংলাতেও পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই।

বরদাকান্ত বিদ্যাপীঠে একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণিতে শুধু বিজ্ঞান বিভাগে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা চালু হয়। ৩ জন শিক্ষকের পদ ফাঁকা রয়েছে।

School Teacher Student
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy