Advertisement
E-Paper

করোনার জন্য পিকনিক বন্ধ গৌড়ে

বিশেষজ্ঞ  চিকিৎসকেরা আশঙ্কা করছেন শীতে করোনার প্রভাব বাড়তে পারে। তাই এমন নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২০ ১৮:৪৮
এ বছর পিকনিকে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। প্রতীকী ছবি।

এ বছর পিকনিকে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। প্রতীকী ছবি।

শীত মানেই বনভোজনের মরসুম। একটু পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে খোলা আকাশের নিচে একটা দিন কাটানো। একসঙ্গে রান্না করে সবাই মিলে ভোজন করা। একটু আড্ডা, গান আর ছোটবেলার খেলা নিয়ে সময় কাটানো। এ বার আর এই সব হবে না। কারণ করোনা আবহ। মালদহ জেলায় বনভোজন করার গন্তব্য একসময়ের বাংলার রাজধানী গৌড়। মালদহবাসী ছাড়া উত্তর ও দক্ষিন দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদের বাসিন্দাদের অনেকের পছন্দের স্থান এই গৌড়। কিন্তু এই বছর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গৌড়ে বনভোজন করার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। ইংরেজবাজার থানার আইসি মদন মোহন রায় জানান, করোনা আবহে গৌড়ে বনভোজনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রতি বছর তথ্য সংগ্রহ করে দেখা গিয়েছে বনভোজনের সময় প্রচুর মানুষের সমাগম হয় এই গৌড়ে। পুলিশ পিকেট বসাতে হয় ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। এছাড়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা আশঙ্কা করছেন শীতে করোনার প্রভাব বাড়তে পারে। তাই এমন নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

বাংলার রাজধানী গৌড়ের ধ্বংসাবশেষ স্থাপত্য দেখে অনেকেই অজানা বাংলার ইতিহাস জানতে পারেন। বিশেষ করে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা এই সময় বনভোজনের ফাঁকে বাংলার ইতিহাসের জ্ঞান অর্জন করতে পারে. কিন্তু প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার জন্য এ বছর জেলা ও আশেপাশের জেলার ছাত্র-ছাত্রীরা বঞ্চিত হবে। জেলার এক শিক্ষক বিকাশ মজুরদার জানান, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বনভোজনের জন্য গৌড় তাঁদের সবচেয়ে পছন্দের জায়গা। খুব অল্প সময়ে গৌড়ে পৌছানো যায়। অপর এক শিক্ষক উতিয় পান্ডে আফসোস করেন, এই বছর ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে তেমন করে সময় কাটানো সম্ভব হয়নি। শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে অনেকটাই মেলবদ্ধন তৈরি হয় এই বনভোজনে মাধ্যমে। সে ক্ষেত্রে গৌড় ছিল সহজলভ্য।

সপ্তম শতাব্দীতে বাংলার রাজধানী গৌড় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাজা শশাঙ্ক। গৌড়ের এখন বেশিরভাগটাই ধ্বংসাবশেষ। বাংলাদেশেও কয়েকটি কাঠামো রয়েছে, এটি একসময় বিশ্বের অন্যতম জনবহুল শহর ছিল। শীতের স্নিগ্ধতায় ডিসেম্বর, জানুয়ারি মাসে বনভোজন করে ইতিহাসের পাতায় হারিয়ে যান পর্যটকেরা। ঘুরে দেখেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ঐতিহাসিক স্থাপত্য। করোনার আবহের ফলে এই বছর গৌড়ে বন্ধ বনভোজন। ফলে হতাশ পর্যটকেরা।

রও পড়ুন: পণের টাকা দিতে না পারায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ কেশপুরে

Gour Picnic
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy